দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাশ্মীরকে নিয়ে একের পর এক যে সব ঘটনা ঘটছে, তাতে করে আরেক ফিলিস্তিন হওয়ার আশঙ্কায় কাশ্মীর!
কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার রোধ হয়েছে প্রায় বছর খানেকের বেশি হতে চলেছে। এতোদিন ভারত সরকার কোনো পদক্ষেপ না নিলেও এবার দিল্লি হতে এলো নতুন আইন। ওই আইনে বলা হলো স্থানীয়দের বাসস্থান নিবন্ধন করতে হবে। যে কারণে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এর ফলে জনতাত্ত্বিক পরিবর্তন নিয়ে আসার চেষ্টা করছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
দ্য নিউ আরবের বরাত দিয়ে এক নিবন্ধে জানা যায়, নতুন ওই আইনের আওতায় এ পর্যন্ত ২৫ হাজার বাসস্থানের নিবন্ধন করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। যারা নিবন্ধন করতে পেরেছেন তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন। তারা সরকারি চাকরির জন্যও আবেদন করতে পারবেন।
নতুন আইন অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, কাশ্মীরে ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে যারা বসতবাড়ি নির্মাণ করে রয়েছেন, কেবল তারা নিবন্ধন করার সুযোগ পাবেন। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে তারা ভারত সরকারের কাছে বৈধ নাগরিক হিসেবেও গণ্য হবেন।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে, এই আইন কাশ্মীরিদের বিশেষ অধিকার হতে দূরে ঠেলে দিবে ও নাগরিক সুবিধা হতেও বঞ্চিত করবে।
কাশ্মীরের রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক শেখ শওকত হুসেইন এই বিষয়ে বলেন, কাশ্মীরি জনগণ এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কারণ হলো তাদের মনে হচ্ছে, নিজ এলাকাতেই তারা হয়তো গৃহহীন হয়ে পড়বেন। নতুন যে আইন জারি করা হয়েছে তাতে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ এখানে জমি ক্রয় করার সুযোগও পাবেন। এখানে স্থায়ীভাবে বসবাসও করতে পারবেন। এর মাধ্যমে সেখানকার সংখ্যালঘু মুসলিমদের কোণঠাসা করা হবে। এ যেনো আরেক ফিলিস্তিন হতে চলেছে কাশ্মীর!
রাজ্যের আগের মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর সেখানে যে নতুন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়, তারা এই আইন কার্যকরে কঠোর অবস্থানে চলে গেছেন। স্থানীয়দের হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গৃহ নিবন্ধন না করলে তাদের ৫০ হাজার রুপি জরিমানাও করা হবে।
এই বিষয়ে ভারতীয় গবেষক ফাইজান ভাট বলেন, এই আইন কাশ্মীরে বহিরাগতদেরকে আরও স্থায়ী করবে। এতে করে ওই অঞ্চলে জনতাত্ত্বিক পরিবর্তনও হবে। বর্তমানে পুরো বিশ্ব করোনা ভাইরাসের মহামারি মোকাবেলা করতে ব্যস্ত। ভারতীয় সরকার কাশ্মীরিদের লাঞ্ছিত করার এই উপযুক্ত সময়টিকেই যেনো বেছে নিয়েছে- এমনটিই ভাবছেন ভুক্তভোগিরা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।