দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার এমন এক হাইপারসোনিক বিমান তৈরি করছে যেটি শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ দ্রুতগতিতে উড়তে পারবে। অর্থাৎ বিমানটি মাক-৫ বা প্রতি ঘণ্টায় ৬,৪০০ কিলোমিটার পথ উড়তে সক্ষম হবে।
মাক-১ হলো গতিমাপক সংখ্যা। শব্দ প্রতি ঘণ্টায় ১২৩৫ কিলোমিটার পথ উড়ে যেতে সক্ষম। এদের লক্ষ্যই হলো ২০৩০ সালের মধ্যে এরা এমন একটি যাত্রীবাহী বিমান তৈরি করবে যা লন্ডন হতে সিডনি যেতে যার সময় লাগবে মাত্র চার ঘণ্টা! বর্তমানে সময় লাগে ২১ ঘণ্টারও বেশি। লস অ্যাঞ্জেলস হতে টোকিও যেতে এই বিমানের সময় লাগবে মাত্র দু’ঘণ্টার মতো! তবে হাইপারসোনিক বিমান তৈরির গবেষণার বেশিরভাগই চলছে বেসরকারি বিমান নয়, জঙ্গীবিমান তৈরির লক্ষ্যেই।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর একজন পদার্থবিজ্ঞানী হলেন জেমস অ্যাকটন। এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, হাইপারসোনিক অস্ত্র তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন বিভিন্ন ধরনের নকশা নিয়ে কাজ করে আসছে।
মাক-৫ গতিতে একটি বিমান উড়ে গেলে যে পরিমাণ তাপ তৈরি হবে সেটি সহ্য করতে পারে এমন উপকরণ তৈরির যেমন গবেষণাতে চলছে, ঠিক তেমনি বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন এর সঙ্গে তাল মেলাতে পারে এমন প্রযুক্তি তৈরি করার। এসব হিসেব মিলে গেলেই পৃথিবীর ভূমণ্ডলের ভেতর দিয়ে শব্দের চেয়েও পাঁচগুণ গতিতে উড়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
তবে হাইপারসোনিক বিমান তৈরির চেষ্টা এবারই নতুন নয়। আমেরিকা ১৯৬০ সালেই এক্স-১৫ নামে একটি হাইপারসোনিক রকেট তৈরি করে। আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বা যাকে আইসিবিএম বলা হয়। সেগুলো যখন মহাকাশ থেকে আবার বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে তখন তারমধ্যে হাইপারসোনিক গতি থাকে।
এখন বিশ্ব পরাশক্তিগুলো এমন অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করে আসছে যেটি বায়ুমণ্ডলের ভেতর দিয়ে উড়ে যেতে পারবে। উচ্চতাপ থেকে রক্ষার জন্য এটিকে আর মহাশূন্যে পাঠানোরই প্রয়োজন হবে না। এই অস্ত্র দিয়ে শুধু শহরই নয়, যেসব লক্ষ্য বস্তু নড়াচড়া করতে পারে তাকেও আঘাত করা সম্ভব। হাইপারসোনিক গবেষণায় অগ্রবর্তী ৩টি দেশই এই খাতে বিপুল সামরিক বরাদ্দ ব্যয় করছে।
হাইপারসোনিক মিসাইল তৈরির মূল সমস্যাই হলো লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করার সঠিকত্ব। ঠিক এই কারণেই চীনের হাতে হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকলে মার্কিন বিমানবাহী রণতরীগুলোকে চীনা উপকূলকে অনেক দূরে রেখেই চলাচল করতে হবে।
হাইপারসোনিক মিসাইল যখন উড়ে যেতে থাকে তখন তাপমাত্রার কারণে মিসাইলের চারপাশে একটা গ্যাসের প্লাজমা আবরণ তৈরি হয়ে থাকে।
এর জন্য মিসাইলের যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও বিঘ্ন ঘটে। সামরিক যোগাযোগের স্যাটেলাইট মিসাইলকে তখন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, লক্ষ্যবস্তু যদি চলমান হয় তাহলে সেক্ষেত্রে মিসাইল আর লক্ষ্যভেদ করতে পারে না।
হাইপারসোনিক মিসাইলের আরেকটি বড় সমস্যা হলো তার রাসায়নিক পরিবর্তন। অতি দ্রুত গতি ও উচ্চ তাপমাত্রার কারণে অক্সিজেনের অণুগুলো ভেঙে পরমাণুতে পরিণত হয়ে থাকে। সেটি মিসাইলের ইঞ্জিনের দক্ষতাকে অনেকখানিই কমিয়ে দেয়।
এরপরও হাইপারসোনিক গবেষণায় নাটকীয় অগ্রগতি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১০ সালে প্রশান্ত মহাসাগরে হাঙ্গরের মুখের মতো দেখতে এক্স-৫১ হাইপারসোনিক মিসাইলের পরীক্ষা চালায়, যেটি ৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে হাইপারসোনিক ছিল।
বিমান বাহিনী অ্যাটলান্টা-ভিত্তিক একটি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য ২০ জন যাত্রীবাহী একটি বিমান নির্মাণের সম্ভাবনা পরীক্ষা করার জন্য। মাক-৫ গতিতে আকাশে উড়বে যে স্বল্প ক’জন ভাগ্যবান তার সঙ্গেই যুক্ত হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম। তথ্যসূত্র: বিবিসি
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।