দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময় মানুষের প্রধান সমস্যায় হলো অতিরিক্ত ওজন। এই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে কম-বেশি সবাই দুশ্চিন্তার মধ্যেই থাকেন। আজ জেনে নিন কয়েকটি খাবারের কথা যেগুলো আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
অনেকেই রয়েছে যারা ব্যায়াম করে ওজন ঝরাতে বেশি আগ্রহী। কেওবা আবার ওজন কমাতে অনেকটা সময় না খেয়েই কাটিয়ে দিতে চান। তাদের মধ্যে কেও কেও আবার রাতের খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে চান। তবে আপনি কি জানেন, ওজন কমানোর জন্য রাতের বেলা খাবারের গুরুত্ব অনেকটা বেশি? এই বিষযে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওজন কমাতে রাতের বেলা খাওয়া বাদ দিয়ে ডায়েট করা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এতে বরং লাভের থেকে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে। যে কারণে ওজন তো কমবেই না, বরং এতে করে আরও স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে।
ওজন কমাতে বিশেষ করে রাতে সহায়ক কয়েকটি কার্যকর ডায়েট প্লানের কথা তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের সংবাদ মাধ্যম জিনিউজের মত অনুযায়ী রাতে খেয়েও দ্রুত ওজন কমানোর সেই ডায়েট প্লানটি আজ দেখে নিন।
ডায়েট প্ল্যান-১: যারা ভাত জাতীয় খাবার পছন্দ করেন তাদের জন্য
অনেকেই রয়েছেন যারা ভাবেন যে, ভাত খেয়ে ওজন কমানো যায় না। এই কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। আপনি চাইলেই রাতে পরিমিত পরিমাণ ভাত খেয়েও ওজন কমাতে পারেন অনায়াসে। তাহলে রাতে নিয়ম করে নিচের চার্টটি ফলো করুন:
১ কাপ ভাত: ভাতের পরিমাণ হতে হবে ১ কাপ কোনোভাবেই এর চেয়ে বেশি হলে চলবে না।
১ টুকরো মাছ/মাংস: মাঝারি আকৃতির এক টুকরো মাছ কিংবা মাংস শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারে।
১ কাপ সবজি: কম তেলে কিংবা তেলবিহীন সবজিভাজি ফ্যাট অনেকাংশে কমাতে সাহায্য করে। ১ কাপ পরিমাণ সবজি অবশ্যই ডায়েট চার্ট-এ রাখতে পারেন। কাঁচা সবজির সালাদ রাখলে আরও ভালো হয়।
১ কাপ ডাল: ডাল ফ্যাট কাটতে সহায়তা করে থাকে। সেইসঙ্গে শরীরে পুষ্টিও জোগায়।
দই: ১ কাপ টক দই খেতে পারেন। এটি খাবার হজমে সাহায্য করবে।
ডায়েট প্ল্যান-২ : যারা রুটি জাতীয় খাবার পছন্দ করেন তাদের জন্য
অনেকেই রাতে ভাতের পরিবর্তে রুটি জাতীয় খাবার খেতেই পছন্দ করেন। তাদের জন্য এই ডায়েট চার্ট দেওয়া হলো। অনুসরণ করে দেখুন, ওজন কমবে খুব দ্রুত।
দুটি পাতলা আটার রুটি খান: রুটিটি অবশ্যই আটার হতে হবে এবং লাল আটা হলে আরও ভালো হয়। ময়দা এবং পাউরুটি হলে কিন্তু চলবে না। কারণ ময়দার রুটি এবং পাউরুটি খেলে ওজন আরও বাড়বে।
১/২ কাপ সবজি খান: কম তেলে কিংবা তেলবিহীন সবজিভাজি আটার রুটির সঙ্গে আপনি খেতে পারেন।
১/২ টি ডিমের সাদা অংশ খান: ডিম হলো প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। ডিমের সাদা অংশে ক্যালোরি অনেকটা কম থাকে। তাই ১/২ টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন বা এক টুকরো মাছ কিংবা মাংস, যা আপনার পছন্দ তা খেতে পারেন।
১/২ টি ফল খান: নাসপাতি, আপেল বা পেপে এই ৩টি ফলের যেকোনো একটি আপনি খেতে পারেন। দই খেতে চাইলে আপনি ২/৩ টেবিল চামচ খেতে পারেন।
ডায়েট প্ল্যান-৩ : দ্রুত ওজন কমানোর জন্য করণীয়
খুব দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে নিচের ডায়েট প্ল্যানটি যে কেওই অনুসরণ করতে পারেন। কারণ হলো দ্রুত ওজন কমাতে এটি খুবই কার্যকরী একটি জিনিস।
আধা কাপ হাই ফাইবার কর্ণফ্লেক্স: হাই ফাইবার কর্ণফ্লেক্স ওজন কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তবে কর্ণফ্লেক্স হতে হবে অবশ্যই চিনি ছাড়া। যদি চিনি ছাড়া খেতে না পারেন তবে মধুও ব্যবহার করতে পারেন।
১ কাপ মাখন ছাড়া দুধ খান: মাখন ছাড়া দুধে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কমই থাকে। তাই এই ডায়েট চার্ট-এ ১ কাপ মাখন ছাড়া দুধ আপনাকে অবশ্যই রাখতে হবে।
ফল: এই ডায়েট চার্টে ফলের গুরুত্বও অনেক বেশি। রাতে বেশি করে পাকা পেঁপে খেতে পারেন। এটি ফ্যাট কমাতে অনেকটা সহায়তা করে।
আপনি চাইলেই কর্ণফ্লেক্স এবং দুধ একসঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। তবে দুধটি অবশ্যই ঠাণ্ডা না খেয়ে গরম খাবেন। সেইসঙ্গে খেতে পারেন এক মুঠো কাঠবাদাম। যা আপনার অনেক উপকারে আসবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।