দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নতুন এক স্নায়ু যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্বনেতাদের সতর্ক করে করোনা মহামারি মোকাবিলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
২৫ জানুয়ারি দাভোস ফোরামের ভার্চুয়াল বৈঠকে দেওয়া ভাষণে শি জিনপিং বলেন, ছোট ছোট দল-উপদল গঠন, নতুন স্নায়ু যুদ্ধ শুরু করা, অন্যদেরকে প্রত্যাখ্যান করা, হুমকি দেওয়া, হামলা চালানো বিশ্বকে শুধুমাত্র বিভাজনের দিকেই ঢেলে দিতে পারে।
বৈশ্বিক জোটকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে চীনের প্রভাবকে রুখতে পরিকল্পনা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অভ্যন্তররীণ বেশ কয়েকটি সংকট মোকাবিলায় বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। অংশ নিতে পারেননি দোভোস সম্মেলনে। প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে এই সম্মেলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশটির জলবায়ু বিষয়কদূত জন কেরি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার ভার্চুয়াল বক্তব্যে এমন একটি মন্তব্য করেছেন।
সংবাদ প্রতিবেদেনের মতে, বাইডেন কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উচ্চারণ না করলেও শি এ কথায় বোঝাতে চেয়েছেন যে বেইজিং কোনোভাবেই ওয়াশিংটনের নির্দেশ মেনে চলবে না।
শি জিনপিং আরও বলেছেন যে, ‘কোনো বৈশ্বিক সমস্যা কখনও কোনো দেশ এককভাবে সমাধান করতে পারে না। সবার প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে তা সমাধান করতে হয়।’
‘আমাদের সকলের উচিত একটি মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গড়ে তোলা। একটি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বৈষম্যমূলক এবং অন্তর্মুখী ব্যবস্থা কিংবা নিয়মনীতি বাদ দেওয়া উচিত। বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি আদানপ্রদানের বাধাগুলোও তুলে দেওয়া উচিত,’ এই বলে যোগ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
শি জিনপিং আরও বলেছেন, চীন তার মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে সমালোচনায় মোটেও ভীত নয়। তার মতে, ‘প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক ব্যবস্থা নিয়ে অন্যের থেকে পৃথক। কেওই কারো চেয়ে বড় নয়।’
তিনি আরও বলেছেন যে, ‘যথাযথ নিয়ম মেনেই এক দেশের সঙ্গে আরেক দেশের সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। দুর্বলের ওপর ক্ষমতার দাপট দেখানো মোটেও উচিত নয়। পেশীশক্তির ভিত্তিতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাও উচিত না।’
দ্য গার্ডিয়ান’র ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাইডেন এখনও তার উত্তরসূরী ট্রাম্পের চীননীতি শিথিল করার কোনো রকম ইঙ্গিত দেননি। অপরদিকে তিনি আমেরিকার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ‘আমেরিকার পণ্য’ কিনুন- এমন ক্রয়নীতির নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরও করেছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।