দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ ৮৬ বছর পর আবারও রমজান দেখলো আয়া সোফিয়া। ষষ্ঠ শতাব্দিতে নির্মিত আয়া সোফিয়া দীর্ঘদিন জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষিত থাকলেও গত বছরের জুলাই মাসে মসজিদে রূপান্তর করা হয়।
ষষ্ঠ শতাব্দিতে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে নির্মিত হয় এই আয়া সোফিয়া। এটি দীর্ঘদিন জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষিত থাকলেও গত বছরের জুলাই মাসে মসজিদে রূপান্তর করার আদেশ দেন তুরস্কের আদালত। তারপর থেকেই সেখানে নামাজ আদায় করছেন দেশটির মুসল্লীরা।
তবে ৮৬ বছর পর প্রথম বারের মতো ঐতিহাসিক এই মসজিদটিতে পবিত্র রমজানের প্রথম তারাবি অনুষ্ঠিত হয়। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই তা অনুষ্ঠিত হয়।
রাশিয়ান টাইমসের এক খবরে বলা হয়, বিশ্ব স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন আয়া সোফিয়াকে ১৯৩৪ সালের নভেম্বরে কামাল আতাতুর্কের মন্ত্রিপরিষদের জাদুঘর রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয় তুরস্কের সর্বোচ্চ আদালত। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ইস্তাম্বুলের আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদ হিসেবে ব্যবহারের ঘোষণাও দেন। গত বছরের ২৪ জুলাই শুক্রবার হতে সেখানে নিয়মিতভাবে নামাজ শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ৫৬৭ খ্রিস্টাব্দে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের খ্রিস্টানদের সর্ববৃহৎ গির্জা হিসেবে এই আয়া সোফিয়া নির্মাণ করা হয়। ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মাদ ফাতিহ কনস্টান্টিনোপল বিজয় করে খ্রিস্টানদের কাছ থেকে এটি ক্রয় করে ৪৮১ বছর মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ১৯৩৬ সালে আধুনিক তুরস্কের জনক মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক এই মসজিদটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।