দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কারাবন্দি চিত্রনায়িকা পরীমণিকে মুক্ত করতে আইনি লড়াইয়ে উচ্চ আদালতে বিনা পয়সায় দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নাসহ একদল আইনজীবী।
আজ সোমবার (২৩ আগস্ট) আইনজীবী জেড আই খান পান্না গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পরীমণির পক্ষে আমরা বিনা পয়সায় আইনি লড়াই করবো। আমার সঙ্গে একদল আইনজীবীও থাকবেন। এই আইনজীবী দলে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল, মাহরিন মাসুদ ভূইয়া, আয়েশা আক্তার, রোহানী সিদ্দিকা, রোহানী ফারুক খান, দেবজিৎ দেবনাথ, মশিউর রহমান রিয়াদ, নাজমুস সাকিব, মানবেন্দ্র রায় মণ্ডল, ইয়াসমিন ইতি প্রমুখ আইনজীবী।
গতকাল (২২ আগস্ট) রাতে ফেসবুক পোস্টে আইনজীবী জেড আই খান পান্না লিখেন যে, ‘পরীমণির মামলা বিনা পারিশ্রমিকেই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা আমার সঙ্গে থাকতে চান থাকবেন।’
ইতিপূর্বে এই আইনজীবী বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া মিন্নির পক্ষে আইনি লড়াই করে হাইকোর্ট হতে জামিন করিয়েছিলেন।
গত ২১ আগস্ট তৃতীয় দফা রিমান্ড শেষে বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ১৯ আগস্ট চিত্রনায়িকা পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। এরও আগে গত ১৩ আগস্ট পরীমণি এবং তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিনই সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। কারা সূত্র জানিয়েছে, নায়িকা পরীমণিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের কোয়ারেন্টিন সেন্টার এ (রজনীগন্ধা ভবন) রাখা হয়।
এর আগে গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। তার আগে গত ৫ আগস্ট পরীমণি এবং দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা হতে চিত্রনায়িকা পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এই সময় পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদক জব্দ করা হয়। ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য আইনে পরীমণি এবং তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।
এদিকে যতোই দিন গড়াচ্ছে ততোই পরীমনির বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। তার জামিন না হওয়া এবং বার বার রিমান্ড নেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছেন শিল্পীসমাজসহ দেশের সাধারণ মানুষ। তারা মনে করেন, পরীমনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাকে হেনস্তা করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে এই গ্রেফতার ও মামলা করেছে। তার সুবিচারের দাবি করেছেন মানবাধিকার সংগঠনগুলোও। দেশের খ্যাতিমান মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালও পরীমনির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তার আগে দেশের বিশিষ্ট্য সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এক বিবৃতিতে পরীমনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন। তিনি এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন। তিনি মনে করেন, পরীমনির মতো একজন অভিনেত্রীর লাইফ শেষ করে দিতে একটি মহল তৎপর। তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।