দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ গর্ভধারণ আর সন্তান প্রসব একজন নারীর জন্য অসাধারন এক কষ্টের কাজ। এক নতুন জীবনের জন্ম অর্থাৎ নবজাতকের আগমন একটি পরিবারের জন্যে সীমাহীন আনন্দ বয়ে আনে। সন্তান জন্ম দেওয়ার দীর্ঘ জটিল প্রক্রিয়ায় পর মাকে আবার সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হয়।
দীর্ঘ সময় গর্ভে সন্তান ধারন করার ফলে মায়ের শরীরের গঠন পরিবর্তিত হয়। সন্তান জন্মের পর এ পরিবর্তন কে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নানান ধাপ অনুসরণ করতে হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক কি ভাবে একজন মা আবার সকল স্বাস্থ্যগত সমস্যা পেছনে ফেলে স্বাভাবিক জীবনে কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারেন।
ধীরে শুরু করুনঃ প্রসূতি মা এবং সন্তান জন্মদান মানব জীবনের জন্য একটি জটিল সময়ের আবর্তন, এসময়ে একজন মা কে নানান মানসিক সমস্যার মাঝে দিয়ে যেতে হয়। যখন একজন মা তাঁর সন্তান প্রসব করেন এর পর তাকে স্বাভাবিক হতে হলে সবার আগে যা করতে হয় প্রসবকালীন সকল বাড়তি ওজন কমাতে হয়। পাশাপাশি বিশ্রাম অত্যাবশ্যকীয়। তবে ওজন কমাতে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল করতে হবে যদি আপনি সিজার অপারেশানের মাধ্যমে সন্তান জন্মদেন তবে প্রথম ১০ সাপ্তাহ অবশ্যই আপনি ব্যায়াম করতে পারবেন না। তবে হালকা ব্যায়াম, মেরিটেশান চালিয়ে যান।
রুটিন মেনে চলুনঃ আপনার যখন একটি সন্তান থাকবে তখন আপনাকে অবশ্যই সন্তানের বিষয়ে খেয়াল রেখে নিয়মিত রুটিন অনুসরণ করে চলতে হবে। নবজাতককে খাওয়ানোর পুষ্টি কোথা থেকে আসে? মায়ের শরির থেকে আসে, এই সব কারনে প্রসবোত্তর বিশ্রামের মাসে যথেষ্ট পুষ্টি গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জন্মের প্রথম ৪মাস আপনার শিশু বেশীর ভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটাবে এসময় আপনি খাওয়া দাওয়া করুন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং স্বামীর সাথে হাসি খুশী সময় কাটান। যেকোনো প্রয়োজনে সকল প্রকার সাহায্য নিন আপনার স্বামী, আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধব থেকে।
যেসকল বিষয় মনে রাখতে হবেঃ
- ধীরে ধীরে শরীর চর্চা করুন।
- প্রতিদিন ২০ মিনিট করে হাটুন।
- সাঁতার জানলে প্রতিদিন কিছুসময় সাঁতার কাটুন।
- কোন কিছু নিয়েই অতিরিক্ত চিন্তিত হবেন না।
- সবসময় আসে পাশে এক বোতল পানি রাখুন নিজেকে হাইড্রেড রাখার চেষ্টা করুন।
- যখন আপনি ব্যায়াম করবেন অবশ্যই সাপোর্টিভ ব্রা পড়ুন।
- কি ধরণের ব্যায়াম আপনি করতে পারবেন বা পারবেন না সে বিষয়ে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সূত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া।