দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা ভাইরাসের এই সময় ডেঙ্গু, জ্বর, সর্দি, কাশি, পেটখারাপের মতো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায় মাঝে মধ্যেই। তবে কিছু খাবার আপনাকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করবে।
গরম কাল বা বর্ষাকালে আবহাওয়ার তারতম্য খুব বেশি হয়। চিকিৎসকরা এই সময়টাতে খাবারের ব্যাপারে বেশি সতর্ক হতে বলেছেন। কারণ এই সময় সব চেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে জীবাণুগুলো।
অনেকেই আবার ভাজাভুজির দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। অনেক সময় দেখা যায় একটু বৃষ্টি হলেই হাতের মুঠোফোনে খাবার ডেলিভারির অ্যাপে রেস্তোরাঁয় খাবার অর্ডার করে ফেলছেন। তাই সাবধানে থাকার পাশাপাশি খাবার নির্বাচনেও হতে হবে আরও সচেতন।
মূলত খাদ্যনালিতে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, সঠিক হজম, পুষ্টির শোষণ ইত্যাদি কাজে সাহায্য করে থাকে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা দ্রুত কমে যায়। এতে করে পেটে নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও যত্নবান হতে হবে।
পেটের জন্য উপকারী করতে পারে যে খাবার:
দই: খাবার হজম করতে প্রোবায়োটিক সহায়তা করে। প্রোবায়োটিকের প্রাকৃতিক উৎসই হলো সাধারণ দই। যদি আপনি দেখেন দই খুব বেশি ঘন হয়ে গেছে তাহলে এটা থেকে ঘোল তৈরি করে নিতে পারেন। যা শরীর আর্দ্র রাখতে ও প্রোবায়োটিক যোগাতেও সাহায্য করবে।
কলা: প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড বলা হয় কলাকে। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে পেটের জরুরি রস উৎপাদন আরও বাড়িয়ে দেয়। এতে করে পেটের প্রদাহ কমে ও শারীরিক এনার্জিও বৃদ্ধি পায়।
ওটস: উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ হওয়ার কারণে ওটস এর প্রিবায়োটিক কার্যকারিতা রয়েছে। এতে বিটা-গ্লুকনের পরিমাণ অনেক গুণ বেশি থাকে; যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখে ও কোলন ক্যানসার রোধেও ভূমিকা রাখে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইসবগুলি ভুসি: খুব শক্তিশালী প্রিবায়োটিক ইসবগুলি ভুসি। এর উচ্চমাত্রার আঁশ অন্ত্রে দ্রুত উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কলোনি তৈরি করে হজম প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে ও অন্ত্রের যে কোনো সংক্রমণের হারও কমায়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।