দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাগরবাসী জীবদের মধ্যে ডলফিনদের নিয়ে মানুষের আগ্রহ একটু বেশিই। সম্প্রতি ডলফিনদের ওপর করা গবেষণায় দেখা গেছে, সাগরবাসী অন্য সব জীব তো বটেই, ডাঙার সবচেয়ে বড় প্রাণী হাতির চেয়েও বেশি স্মৃতিশক্তি ডলফিনদের।
ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর জেসন ব্রুক নামের এক স্নাতক ছাত্র চার মাস থেকে ৪৭ বছর বয়েসী ৪৩টি ডলফিনের ওপর গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। গবেষণায় জেসন ব্রুক দেখেছেন, প্রায় ২০ বছর আগে শোনা কোনো বাঁশির শব্দ শোনা মাত্র আলাদা করে তা শনাক্ত করতে পারে ডলফিনরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই সময়সীমা আরো বাড়তে পারে।
গবেষণার অধীনে থাকা দুই ডলফিন ভাই বেইলি আর অ্যালির কথাই ধরা যাক। আমেরিকার ফ্লোরিডার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় সানশাইন এলাকার একটি ডলফিন কানেকশান ফ্যাসিলিটিতে এরা বড় হয়। একটু বড় হলে এদের আলাদা আলাদা দুটো অ্যাকুয়ারিয়ামের জন্য পাঠানো হয়। বেইলিকে পাঠানো হয় বারমুডায়, আর অ্যালি যায় শিকাগোয়। এরপর কেটে যায় প্রায় দুই বছর ৬ মাস। এই দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর শিকাগো টাউনের চিড়িয়াখানায় অবস্থানরত অ্যালির গলার স্বর রেকর্ড করে পাঠানো হয় বেইলির কাছে। শব্দ শোনা মাত্রই বেইলি এটিকে অ্যালির কণ্ঠস্বর বলে শনাক্ত করতে পারে। বিষ্ময়কর এই আবিষ্কারে অভিভূত গবেষক ব্রুক বলেন, “আমি জানি আমার নিজের পক্ষেই এটা সম্ভব না। সামাজিক জীবদের মধ্যে সম্ভবত ডলফিনদেরই এতো উচ্চ স্মৃতিশক্তি দেখা গেলো।” এর আগে প্রায় একই রকমের এক গবেষণায় বানরের জন্য এই সময়সীমা ৪ বছর এবং হাতির জন্য ১০ বছর বলে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই স্কটল্যান্ডের একদল গবেষক দেখেছেন, মানুষ যেভাবে একে অন্যকে নাম ধরে ডাকে, ডলফিনও সেভাবে একে অন্যকে শীষ দিয়ে ডাকে। একটি দলের প্রতিটি ডলফিনের জন্য আলাদা শিষ বরাদ্দ থাকে।
তথ্যসূত্র: CKHID.COM