দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে কম্পিউটারের থেকে ল্যাপটপই বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু সেই ল্যাপটপ যদি কাজের সময় স্লো হয় তাহলে মেজাজ খারাপ হওয়ারই কথা। তবে কিছু নিয়ম মানলে সেই সমস্যা আর থাকবে না।
কাজের চাপে ল্যাপটপ স্লো বা ধীর গতির হয়ে পড়ার কারণে ব্যবহারকারীরা কোনো কাজ তাড়াতাড়ি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হন।
এমন পরিস্থিতিতে অনেকেরই হয়তো মনে করেন যে, ল্যাপটপটা বোধহয় এবার খারাপ হয়ে গেছে। অনেকেই আবার সিস্টেম ফরম্যাট করে ভাবেন নতুন ল্যাপটপ কিনতে হবে। তবে ছোট কয়েকটি টিপস অনুসরণ করে চললেই ধীর গতির ল্যাপটপটি আবার দ্রুত গতির হয়ে যেতে পারে। এখানে কিছু টিপস দেওয়া হলো।
একাধিক ট্যাব খুলে রাখবেন না কখনও
একটি বিষয় হলো কাজ করার সুবিধার জন্য বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই এক সঙ্গে অনেকগুলো ট্যাব খুলে রেখে কাজ করে থাকেন, যাতে প্রতিটি রেজাল্ট তাদের চোখের সামনেই থাকে এবং খুব তাড়াতাড়ি কাজও করা যায়। তবে মনে রাখবেন, আপনার ব্রাউজারে যতো বেশি ট্যাব খোলা রাখবেন, আপনার ডিভাইসের র্যাম কিংবা প্রসেসরের ওপর ততো বেশি চাপও পড়বে। ফলস্বরুপ আপনার ডিভাইসটি অত্যন্ত ধীর গতি হয়ে যাবে।
অব্যবহৃত প্রোগ্রামগুলো আনইনস্টল করুন
আপনার ল্যাপটপে কি এমন কোনো প্রোগ্রাম রয়েছে যা আপনি বেশ কয়েক মাস আগে ডাউনলোড করার পর আর কোনোদিনই ব্যবহার করেননি? যদি এমন কিছু থেকে থাকে, তাহলে সেগুলোকে তাড়াতাড়ি আনইনস্টল করে নিন। ল্যাপটপকে ধীর থেকে দ্রুত করার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
ব্যাকগ্রাউন্ডের প্রোগ্রামগুলির দিকে নজর দিন
আপনি ব্যবহার না করা সত্বেও আপনার অজান্তেই ল্যাপটপের ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক লুকিয়ে থাকা প্রোগ্রাম রান করতেই থাকে, যা আপনার ডিভাইসকে আরও ধীর করে দেয়। সে জন্য একসঙ্গে Ctrl+Shift+Esc প্রেস করে টাস্ক ম্যানেজারে যান ও সেখানে গিয়ে চেক করুন যে ব্যাকগ্রাউন্ডে অযথা কোন প্রোগ্রাম চলছে। এর মধ্যে আপনি যে প্রোগ্রামটি বন্ধ করতে চান তাতে রাইট ক্লিক করে ‘End Task’-এ ক্লিক করুন।
ডিভাইসটি রিস্টার্ট করুন
আরেকটি সহজ কাজ হলো রিস্টার্ট করা। আপনার ল্যাপটপটিকে ধীর হতে দ্রুত করার ক্ষেত্রে ডিভাইসটি রিস্টার্ট করা অত্যন্ত দুর্দান্ত উপায়। যে কারণে আপনার ল্যাপটপের অস্থায়ী ক্যাশে মেমোরি ক্লিয়ার হয়ে যাবে, যার ফলে আপনার ল্যাপটপটি আগের তুলনায় অনেক দ্রুত কাজ করে। এছাড়া যখনই আপনার ল্যাপটপে অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করার কোনো নোটিফিকেশনও আসবে, তাহলে আপনি তৎক্ষণাৎ আপডেট করতে ভুলবেন না। মনে রাখতে হবে, আপনার ধীর ল্যাপটপটিকে দ্রুত করার ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম আপডেটও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
স্টার্টআপ অ্যাপ বন্ধ রাখুন
আপনি ল্যাপটপ অন করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেশ কিছু প্রোগ্রাম ওপেন হয়ে যাবে। এগুলি হলো স্টার্টআপ অ্যাপ্লিকেশন যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চুপিসারে আপনার ল্যাপটপে তৈরি হয় ও ধীরে ধীরে আপনার ল্যাপটপের কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিতও করে। তাই এই অপ্রয়োজনীয় স্টার্টআপ প্রোগ্রামগুলোকে অবিলম্বে বন্ধ করে দিন। সে জন্য একসঙ্গে Ctrl+Shift+Esc প্রেস করে টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে expanded view-তে চলে যান, তারপর ‘Startup’ tabs-এ নেভিগেট করুন ও সেগুলি বন্ধ করুন।
রিসাইকাল বিন ক্লিন
ব্যবহারকারীদের মাঝে-মধ্যে রিসাইকেল বিন খালি করে দেওয়া দরকার। আপনি সিস্টেম বা ল্যাপটপের যে সব ডকুমেন্ট ডিলিট করেন তা রিসাইকেল বিনে সেগুলো পড়ে থাকে, অর্থাৎ আপনার রিসাইকেল বিন ভর্তি হতে থাকে। এছাড়াও Shift + Delete কমান্ডের ব্যবহার করতে পারেন ও এটি করে আপনি আপনার ফাইল পারমানেন্টলি ডিলিটও করতে পারবেন।
অ্যান্টিভারাস
পিসিতে কখনও একাধিক অ্যান্টিভারাস নিজের সিস্টেমে রাখবেন না। পিসি বা ল্যাপটপ এর জন্য একটি রেজিস্টার্ড অ্যান্টিভাইরাসই যথেষ্ট। সেক্ষেত্রে দুটি প্রোগ্রাম কিংবা কোন ফায়ারেবেল প্রোগ্রাম ইন্সটল করার পরে পিসি ধীর হয়ে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।