দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন টিম ক্রিয়েটিভ ও ক্লাসটিউনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল টি আহমেদ।
মঙ্গলবার বিকেলে বেসিস কার্যালয়ে ২০২২-২০২৩ মেয়াদে কার্যনির্বাহী কমিটির এই পদবণ্টন ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের সভাপতি এস এম কামাল।
গিগা টেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিরা জুবেরি হিমিকা জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবু দাউদ খান সহ-সভাপতি (প্রশাসন), পাঠাও লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফাহিম আহমেদ সহ-সভাপতি (অর্থ) পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও টেকনো হেভেন কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ নিয়ামুল করিম, টেকনোগ্রাম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, স্পেকট্রাম সফটওয়্যার অ্যান্ড কনসাল্টিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুশফিকুর রহমান, মাস্টারর্কাড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ড্রিমাজ ল্যাব লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও তানভীর হোসেন খান, অ্যাডভান্সড ইআরপি (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল এবং ড্রিম৭১ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশাদ কবির পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ২৬ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পদবণ্টন অনুষ্ঠানে বেসিসের নবনির্বাচিত সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি প্রতিটি সদস্যের উন্নয়ন মানেই বেসিসের উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন। ‘এভরি মেম্বার মেটার্স’ স্লোগান নিয়ে আমরা এসেছি। সেই স্লোগানকে সামনে রেখেই সম্মিলিতভাবে আমরা এগিয়ে যাবো”।
প্রসঙ্গত, রাসেল টি আহমদে এর আগে ২০১২-২০১৪ মেয়াদে বেসিসের মহাসচিব এবং ২০১৪-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৮ মেয়াদে জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি বেসিসের বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৪, আইটি মার্কেটিং সামিট, বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক, ওয়ান বাংলাদেশের মতো বিভিন্ন আয়োজনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বেসিস ও দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পলিসি তৈরি ও বাস্তবায়ন, সদস্যদের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্সের (অ্যাপিকটা) মার্কেটিং চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির অস্কারখ্যাত অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠিত হয়।
বেসিস ছাড়াও রাসেল টি আহমেদ শিক্ষা বিষয়ক বাংলাদেশের দুটি জনপ্রিয় টেলিভিশন শো স্পেলিং বি এবং সায়েন্স রক অনুষ্ঠানের আয়োজক। তাঁর প্রতিষ্ঠান টিম ক্রিয়েটিভ শিক্ষার্থীদের অনলাইন সুরক্ষায় ইউনিসেফ ও টেলিনরের সাথে যৌথভাবে ‘বি স্মার্ট, ইউজ হার্ট’ র্শীষক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে। ২০১০ সালে নিজ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার আগে তিনি আমরা নেটওয়ার্কসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কিউবির প্রধান বিপনন কর্মকর্তা, ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান কৌশলগত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলে। তিনি ২০০৮-২০০৯ মেয়াদে আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) মহাসচিব ছিলেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।