দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এসে গেছে নতুন বছর। নিজের চেহারা হোক বা মতাদর্শই হোক, বর্ষবরণের আনন্দে মেতে ওঠার পাশাপাশি সবকিছুর পরিবর্তন আনতে চান অনেকেই। যাদের ওজন বাড়ার সমস্যা রয়েছে তারা ভরপেট খেয়েই নতুন বছর ওজন কমান।
আমাদের মধ্যে যারা একটু স্বাস্থ্য-সচেতন, নতুন বছরে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কি করবেন ইতিমধ্যেই তা পরিকল্পনা করে রেখেছেন নিশ্চয়ই। তবে মাথায় রাখবেন ওজন কমাতে গিয়ে যেনো হিতে বিপরীত না হয়। আপনার জীবনযাপন হোক সুস্থ, ওজনও থাকুক নিয়ন্ত্রণে।
অল্প খান, তবে না খেয়ে থাকবেন না
নতুন বছরে ওজন কমিয়ে নিজেকে নতুন রূপে দেখতে চান নিশ্চয়ই? সেজন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করুন, জিমে যান- তবে না খেয়ে কখনও থাকবেন না ভুলেও। না খেলে শরীরের বিপাক হার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে। একসঙ্গে অনেকটা ভারি খাবার খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
যে খাবার অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি করে সেইসব খাবার থেকে দূরে থাকুন
শরীরের হাল ঠিক রাখতে প্রোটিন খেতে গিয়ে নিয়মিত মাছ, মাংস বা ডিম খাবেন না। এতে অ্যাসিডিটি আরও বাড়তে পারে। গ্যাসের সমস্যাও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন সবুজ শাক-সব্জি এবং টাটকা ফল।
শর্করা জাতীয় খাবার খান অল্প পরিমাণে
শরীরকে সুস্থ রাখতে পুষ্টিবিদরা সাধারণত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার ও শর্করা জাতীয় খাবার কম খাওয়ার কথা বলে থাকেন। তবে যাদের রক্তে চিনির পরিমাণ কম তারা মাঝে-মধ্যে শর্করা জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
ওজন কমাতে শুধু তরল খাবার?
অনেকেই মনে করেন যে, তরল খাবার খেলে বোধহয় দ্রুতই কমবে ওজন। এটি একেবারেরই ভুল ধারণা। স্যুপ, জুস ইত্যাদি পানীয় কিংবা তরল জাতীয় খাবারের উপর ভরসা করে থাকলে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এতে করে শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
প্রতিদিন খান অল্প কার্বোহাইড্রেট
সাধারণত দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেদ ঝরাতে অনেকেই নিয়মিত খাবারের তালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে দেন। কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতির কারণে তার প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলে। তাই এটি মোটেও করা উচিত হবে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।