দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে ‘আইবাবল’ নামক একটি নতুন ফিচার চালু করেছে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো।
এর মাধ্যমে প্রযুক্তিপ্রেমীরা আরও সহজ ও কার্যকরী উপায়ে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে। এই ফিচারের ফলে বন্ধুদের দেয়া মেসেজ স্ক্রিনে বেলুনের (বাবল) মতো ভেসে থাকবে, আর তাই ব্যবহারকারীরা কোনো প্রয়োজনীয় মেসেজ মিস করবেন না। এভাবে প্রিয়জনদের সাথে সম্পর্ক হবে আরও দৃঢ়।
অন্য কাজ করার সময় এই ফিচারটি ব্যবহারকারীদের তাদের মেসেজ (যা স্ক্রিনে বেলুনের মতো ভাসবে) সহজে লক্ষ্য করতে সাহায্য করবে। ফলস্বরূপ, তারা তাদের কাছের মানুষদের সাথে আরও কার্যকর উপায়ে যোগাযোগ বজায় রাখতে বা বন্ধন দৃঢ় করতে সক্ষম হবেন। এই ফিচারটি ব্যবহারের সময় ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা পাবেন। ব্যবহারকারীরা ‘অল কন্ট্যাক্টস’ বা নির্বাচিত সর্বোচ্চ পাঁচজন কাছের মানুষের জন্য ‘মেসেজ অ্যালার্ট’ ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবেন।
নির্বাচিত পরিচিতজনেরা ব্যবহারকারীদের সাথে যোগাযোগ শুরু করলে, সেসব বন্ধুদের অ্যাভাটার এবং চ্যাট যদি থাকে তা স্ক্রিনে ভেসে উঠবে এবং ব্যবহারকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে তা দেখতে পাবেন।
নতুন এই আইবাবল ফিচারটি ব্যবহারকারীদের বেশ কিছু সুবিধা প্রদান করবে। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা ব্যবহারকারীদের কাছের মানুষদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করবে। ফলে একজন ইমো ব্যবহারকারী তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষদেরকে অগ্রাধিকার দিতে পারবেন। এছাড়াও ইমো’র আইবাবল চ্যাট অপশনের জন্য স্ক্রিনে অল্প জায়গা প্রয়োজন হয় এবং ব্যবহারকারীর কাছের মানুষদের অনলাইন স্ট্যাটাস সম্পর্কিত নোটিফিকেশনের সুবিধাও যুক্ত করা হয়েছে এই ফিচারটিতে।
এই ফিচারটি সক্রিয় করতে, ব্যবহারকারীদের ইমো অ্যাপের প্রোফাইল পেইজে প্রবেশ করে ‘আইবাবল’ ফিচারটি খুঁজে বের করে তাতে ট্যাপ করতে হবে। এরপর, আইবাবল ফিচারের পেইজে, ‘টার্ন অন সুইচ’ সক্রিয় করতে হবে। সক্রিয় করার পর, ব্যবহারকারীরা ‘মেসেজেস’ এবং ‘অনলাইন নোটিফিকেশন’ এর জন্য বিভিন্ন ইউজার গ্রুপ বেছে নিতে পারবেন। এছাড়াও, ব্যবহারকারীরা ‘ফ্লোটিং বাবল’ এ চাপ দিয়ে একে স্ক্রিনের নীচের কেন্দ্রে ‘X’ চিহ্নের কাছে টেনে এনে এই ফিচারটি সরিয়ে ফেলতে পারবেন।
ইমো ব্যবহার করতে ইচ্ছুক ব্যাক্তিরা অ্যাপটি ফ্রি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।