দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অন্যান্য তেলের থেকে অলিভ অয়েলের দাম অনেক বেশি বলে মধ্যবিত্ত বাড়িতে এই তেলের ব্যবহার তুলনামূলক ভাবে একেবারেই কম। এই অলিভ অয়েল কী হৃদরোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ? আজ জেনে নিন বিষয়টি।
বাড়ির রান্নায় বেশির ভাগ সময়ই ব্যবহার করা হয় সোয়াবিন তেল বা সর্ষের তেল। আবার সাদা তেল বা সানফ্লাওয়ার অয়েলও ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। তবে অনেকের হেঁশেলেই দেখতে পাওয়া যায় অলিভ অয়েলের শিশি। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ বিশেষ কোনও পদ কিংবা স্যালাডে অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন। অন্য তেলের চেয়ে অলিভ অয়েলের দাম অনেকটাই বেশি বলে মধ্যবিত্ত বাড়িতে এই তেলের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কমই হয়ে থাকে। তবে মনে রাখবেন অলিভ অয়েল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর তেল।
সবচেয়ে উচ্চ মানের অলিভ অয়েল হলো একস্ট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। মাখনের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসাবেও এই অলিভ অয়েল খাওয়া যেতে পারে।
এই অলিভ অয়েলে রয়েছে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি হলো এক ধরনের ফ্যাট। তবে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাছাড়াও অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও। অলিভ অয়েল শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রত্যেক দিনের খাবারে যদি চার টেবিল চামচ করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল নেওয়া যায়, তাহলে হৃদরোগের প্রায় ১৯ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাও কমে আসবে। অলিভ অয়েল খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় প্রায় ১৭ শতাংশ। অ্যালঝাইমার্সের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখে রান্নায় অলিভ অয়েলের ব্যবহার থাকলে।
অলিভ অয়েলের আরেকটি গুণ হলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সমানভাবে উপকার করে এই অলিভ অয়েল। রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে থাকে অলিভ অয়েল। আবার খিদেও কম পায়। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কিংবা বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতাও অনেকটা কমে যায়। যে কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও থাকে না বললেই চলে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।