দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গগুলোকে অবহেলা করেন মানুষ। যে কারণে সময় থাকতে শুরু হয় না চিকিৎসা।
ক্যান্সার নিঃসন্দেহে অত্যন্ত জটিল একটি রোগ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই রোগ যতো প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা যাবে ততোই বাড়বে চিকিৎসার সুযোগ। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গগুলোকে অবহেলা করেন অনেকেই। যে কারণে সময় থাকতে শুরু হয় না চিকিৎসা। আজ দেখে নিন তেমনই কিছু উপসর্গের কথা।
ফোলা জায়গা
অনেক সময় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার ত্বকের উপর থেকেও বোঝা যেতে পারে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে স্তনে এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্ডকোষে কোনও রকম স্ফীতি দেখা দিলেই অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
মলত্যাগের সমস্যা হওয়া
যদি আচমকা মলত্যাগের অভ্যাস বদলে যায় কিংবা মলত্যাগ করতে সমস্যা হয়, তাহলে কোলন ক্যান্সারের ইঙ্গিতও হতে পারে। যদি মলের সঙ্গে রক্ত পড়ে তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। অনেকেই এই উপসর্গগুলোকে অর্শ বলে ভুল করে বসেন। যে কারণে দেরি হয়ে যায় চিকিৎসা করাতে, আর সেই সুযোগে ছড়িয়ে পড়ে রোগ।
অনবরত কাশি হওয়া
যে কোনও কাশি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলেই সেটি গভীরতর রোগের ইঙ্গিতও হতে পারে। ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান লক্ষণই হলো কাশি। তাই দীর্ঘমেয়াদি কাশিকে অ্যালার্জির সমস্যা ভেবে কখনও উপেক্ষা করবেন না।
খাবার গিলতে অসুবিধা
অনেক সময় নানা ভাইরাস জনিত রোগে গলা ব্যথা হয়। তাই খাবার গিলতে অসুবিধা হলে কিংবা খাবার গেলার সময় ব্যথা অনুভূত হলে অনেকেই তা উপেক্ষা করেন। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই সমস্যা গলা, খাদ্যনালী বা পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে।
আচমকা ওজন কমে যাওয়া
মানবদেহের ওজন কমে যাওয়ার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। ডায়াবেটিস, থাইরয়েডের সমস্যা বা নিছক পুষ্টির অভাবেও অনেক সময় ওজন কমে যেতে পারে। তবে যদি আনুষঙ্গিক কোনও রোগ না থাকার পরও যদি ওজন কমে যায়, তবে তা উপেক্ষা করা মোটেও ঠিক নয়। এটি ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।