দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ২০৩৩ সালে মঙ্গল গ্রহের পাথরের ৩০টি নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই মিশনে সহায়তার জন্য তারা দু’টি ছোট হেলিকপ্টারও পাঠাবে।
সংস্থাটি সম্প্রতি এই তথ্য দিয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাসার পাঠানো প্রিজারভেন্স রোভারটি মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করে। মঙ্গলে প্রাণের প্রাচীন অস্তিত্বের প্রমাণ সংগ্রহের অংশ হিসেবে এই রোভার এই পর্যন্ত ১১টি নমুনা সংগ্রহ করে। তবে পৃথিবীর ল্যাবে বিস্তারিত গবেষণা এবং পর্যবেক্ষণের জন্য এই নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিলতর।
নাসার পরিকল্পনা ছিল প্রিজারভেন্স থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য আরেকটি রোভার পাঠানোর। মার্স অ্যাসেন্ট ভেহিকেল নামে এই রোভারের সুসজ্জিত রোবোটিক ল্যান্ডারের নিজস্ব রকেটের মাধ্যমে প্রিজারভেন্স হতে সংগৃহীত নমুনা মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছানোর পর সেখান থেকেই একটি ইউরোপিয়ান মহাকাশ যানের মাধ্যমে পৃথিবীতে নিয়ে আসার কথা।
নাসার প্রিজারভেন্স কোনো কারণে যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ নাও করে, প্রিজারভেন্সের দ্বিতীয় ‘স্যাম্পল ফেচ রোভার’ বিকল হলে দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে প্রিজারভেন্স নিজেই সংগৃহীত নমুনার কার্গোটি সরাসরি ল্যান্ডারে তখন পৌঁছে দেবে। সে জন্য প্রিজারভেন্স একটি রোবটিক হাতও ব্যবহার করবে।
এই পরিকল্পনা সত্ত্বেও নাসা সব সময় আকস্মিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। প্রিজারভেন্স অকার্যকর হলে এই ক্ষেত্রে ব্যাকআপ পরিকল্পনাও রয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী নাসা ২০২৮ সালে মঙ্গলের উদ্দেশে ল্যান্ডার পাঠাবে। এই ল্যান্ডারটি ২০৩০ সালে মঙ্গলে অবতরণ করবে। এই ল্যান্ডার দু’টিই ছোট হেলিকপ্টার বহন করে নিয়ে যাবে।
প্রিজারভেন্স মঙ্গলে ইনজিনিউটি নামে অপর একটি নিজস্ব হেলিকপ্টার বহন করে নিয়ে এসেছিল। এটি প্রথম পৃথিবীর বাইরে মঙ্গলের আকাশে স্বনিয়ন্ত্রিত ফ্লাইট হিসেবে পরিচালিত করে। এটি এ পর্যন্ত অন্তত ২৯ বার উড্ডয়ন করেছে।
নতুন পাঠানো হেলিকপ্টার দু’টিই কিছুটা ভারি হবে, চাকা সজ্জিত হেলিকপ্টার দু’টি মাটিতে চলতেও পারবে। সেইসঙ্গে রোবটিক হাত দিয়ে নমুনাগুলো পুনরুদ্ধারও করতে পারবে।
এই পর্যায়ে প্রিজারভেন্স প্রথমেই নমুনাগুলো মাটিতে ফেলে দেবে। আর হেলিকপ্টার সেগুলোকে তুলে নেবে। তারপর সেগুলো ফিরতি আরোহন যানে (মার্স অ্যাসেন্ট ভেহিকেল) তা তুলে দেবে। এই যানটি মঙ্গলের সংগৃহীত নমুনা নিয়ে ২০৩৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ মরুভূমিতে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।