দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সরাসরি নিয়ন্ত্রণের ওপর আর নির্ভর করছে না মঙ্গলচারী রোবট কিউরিওসিটি। এখন থেকে লাল গ্রহ মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই চলাচল করবে এই মহাকাশচারী রোবটটি।
যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে বিজ্ঞাণীরা কিউরিওসিটিকে স্বয়ংক্রিয়তার ক্ষমতাটি দিয়েছেন, সেটি এর আগে আরেক মঙ্গলচারী যান অপরচুনিটিতে ব্যবহৃত হয়েছিলো। তবে কিউরিওসিটিতে প্রয়োগের জন্য সেই সফটওয়্যারের অনেক জটিল এবং অধিক কর্মক্ষম রূপান্তর ঘটানো হয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে চলতে চলতে কিউরিওসিটি চারপাশের ছবি তুলবে এবং সেগুলো বিশ্লেষণ করেই নিরাপদ পথ বাছাই করে নেবে। আগস্ট মাসের ২৭ তারিখ থেকেই নিজের নিয়ন্ত্রণে পথ হাঁটতে শুরু করেছে মঙ্গলচারী এই যানটি।
কিউরিওসিটিতে যোগ করা আত্মনিয়ন্ত্রণের এই নতুন গুণটি যন্ত্রটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলোয় অনেক সাহায্য করবে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। মঙ্গল গ্রহের যে বিস্তৃত অংশে এখনো এই নিঃসঙ্গ ভ্রমণকারীর পা পড়েনি, সে অংশগুলো ঘুরে সেখান থেকে তথ্য যোগাড় করতে এই স্বয়ংক্রিয়তা অনেকখানি সাহায্য করবে কিউরিওসিটিকে। খুব শীঘ্রই মঙ্গলের মাউন্ট শার্প নামের একটি অঞ্চলে ভূতাত্ত্বিক জরিপ চালানোর কথা কিউরিওসিটির। মঙ্গল সম্পর্কে জানার জন্য মাউন্ট শার্প এলাকাটিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে চালানো ভূতাত্ত্বিক জরিপ থেকে মঙ্গলের অতীতকালের ভূতাত্ত্বিক পরিস্থিতি, গঠন কেমন ছিলো সে সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য ধারণা পাবেন তারা।
উল্লেখ্য, ছোট গাড়ির আকৃতির রোবট কিউরিওসিটিকে ২০১১ সালের ২৬ নভেম্বর মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠায় নাসা। গত বছরের ৬ আগস্ট রোবটটি প্রথমবারের মত মঙ্গলের বুকে অবতরণ করে। যে নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে নাসা কিউরিওসিটীকে পাঠায়, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হয়। কিউরিওসিটি মূলত মঙ্গলের ভূতাত্ত্বিক গঠন এবং জলবায়ু বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করছে। কিউরিওসিটির পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ২০২০ সালে নাসা মঙ্গলের বাসযোগ্যতা পরিমাপে আরো বড় একটি অভিযান চালাবে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল