দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মেসেজ-এর সাহায্যে পাঠানো হয়। তাই ভুয়া মেসেজ আসাও স্বাভাবিক। তাই এই ভুয়া মেসেজ এড়িয়ে চলতে হবে।
হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে গ্রাহকরা যেমন উপকৃত হচ্ছেন ঠিক তেমনি যে কোনো ভালো কিছুর একটি খারাপ দিকও রয়েছে। তাই জালিয়াতরা এখন সাধারণ মানুষকে ঠকাতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কিছু ভুয়া মেসেজ ছড়ানো হচ্ছে, যেগুলিকে বিশ্বাস করলে আপনি বিপদে পড়ে যেতে পারেন। আজ এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের বর্তমানে অনেক ভুয়া কোম্পানি থেকে মেসেজ পাঠিয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়ে থাকে। ভালো বেতনের লোভ দেখিয়ে এই মেসেজে একটি লিঙ্কে ক্লিক করতে ও নিজের সম্পর্কে তথ্য দিতে কিংবা একটি নম্বরে কল করতে বলা হয়। এরপর ছলে বলে কৌশলে ব্যবহারকারীর ব্যাংকের তথ্য হাতিয়ে তাকে নি:শ্ব করে দেওয়া হয়।
লাকি ড্র কিংবা পুরস্কার জয়ের মেসেজ
লাকি ড্র কিংবা পুরস্কার জয়ের মেসেজ প্রতারকদের পুরানো কৌশলগুলোর মধ্যে একটি। যেখানে ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হয় ও তারপর ফাঁদে ফেলা হয়। এই ধরনের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজগুলো কেবিসি জিও লাকি ড্র কিংবা এই জাতীয় অন্যান্য নাম দিয়ে করা হয়ে থাকে এবং ব্যবহারকারীদের জানায় যে, তারা নগদ পুরস্কারও জিতেছে। ব্যবহারকারীদের এই পুরস্কার মূল্য পাওয়ার জন্য মেসেজের সঙ্গে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করতে বলা হয় ও সেখানে ক্লিক করার পর একটি ফর্ম সামনে চলে আসে, যেখানে ব্যক্তির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পূরণ করতে বলা হয়। তারপর প্রসেসিংয়ের জন্য কিছু অর্থও দাবি করা হয়। তাদেরকে বিশ্বাস করে একবার টাকা দিলে, আরও অর্থ দাবি করা হয়ে থাকে। এভাবেই চলতে থাকে প্রতারণা।
ওটিপি চাওয়া মেসেজ
কিছু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী এমন মেসেজও পান যেখানে তাদের নম্বরে আসা ওটিপি চাওয়া হয়ে থাকে। ওই মেসেজে লেখা থাকে, ‘দুঃখিত আমি ভুল করে আপনার নম্বরে ওটিপি’সহ একটি গুরুত্বপূর্ণ মেসেজটি পাঠিয়েছি। আপনি কী আমাকে এই ওটিপি বলতে পারবেন? এটা স্পষ্ট যে, প্রতারকরা কখনও ভুল করে কোনও ওটিপি পাঠায় না, তবে ওটিপির সাহায্যে তারা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে ঢুকে লগইন করার চেষ্টা করবে।
ভিডিও বা ছবিতে আপনাকে দেখার দাবি
অনেক সময় হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে, প্রতারকরা মেসেজের সঙ্গে লিঙ্ক পাঠায় ও ভয় দেখিয়ে লিঙ্কটিতে ক্লিক করার জন্য চেষ্টাও করে। মেসেজে লেখা থাকে যে, ‘এই ভিডিওতে কী আপনাকে দেখা যাচ্ছে?’ কিংবা ‘এটা কী আপনার ছবি?’ এটা স্পষ্টই যে, কৌতুহলবশত: ব্যবহারকারী এই মেসেজের সঙ্গে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করেন ও তাকে তখন ম্যালিশিয়াস ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর ব্যবহারকারীর ডিভাইস হ্যাক করার চেষ্টাও করা হয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।