দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পায়ের পাতাতে প্লান্টার ফাসিয়া নামে একটি লিগামেন্ট থাকে। সেখানে টান ধরলে গোড়ালিতে ব্যথা বাড়ে। এই সমস্যাকে বলা হয় প্লান্টার ফাসাইটিস। এর প্রধান উপসর্গ হলো গোড়ালিতে ব্যথা। নিয়মিত হিল পরলে এই ব্যথা আরও বাড়ে। কিছু ঘরোয়া টোটকায় উপশম মিলবে?
হিলপরা আমাদের অনেকের অভ্যাস। বিশেষ করে যারা একটু লম্বায় খাটো তাদের মধ্যে উচু হিল পরার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। আর প্রতিনিয়ত হিল পরার কারণে পায়ের গোড়ালিতে সমস্যা দেখা দেয়। বাইরে ঘোরাঘুরির সময় যন্ত্রণা টের না পেলেও ঘরে ফিরেই টের পাচ্ছেন গোড়ালির ব্যথা? পায়ের পাতায় প্লান্টার ফাসিয়া নামে একটি লিগামেন্ট থাকে। সেখানে টান ধরলে তখন গোড়ালিতে ব্যথা বাড়ে। এই সমস্যাটিকে বলা হয় প্লান্টার ফাসাইটিস। এর প্রধান উপসর্গই হলো গোড়ালিতে ব্যথা। নিয়মিত হিল পরলে এই ব্যথা আরও বাড়ে। তবে কিছু ঘরোয়া টোটকা রয়েছে, যেগুলোয় দ্রুত কমবে গোড়ালির যন্ত্রণা।
অ্যালোভেরা জেল
হিল পরার পর পায়ে যন্ত্রণা বাড়লে দাওয়াই হিসাবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে। নিয়ম করে দিনে দু’বার এই জেল দিয়ে গোড়ালির চারপাশে মালিশ করতে হবে। তাতে ব্যথা কমবে।
বরফ
ব্যথার তীব্রতা কমাতে গোড়ালিতে বরফ সেঁক দেওয়া যেতে পারে। নিয়ম করে দিনে দু’বার করে বরফের সেঁক দিলেও রেহাই পারেন এই ব্যথা থেকে।
ল্যাভেন্ডার তেল
নারকেল তেলের সঙ্গে দু’ফোটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে পায়ের পাতার ঠিক নীচের অংশে ভালেভাবে মালিশ করে নিন। বা বালতিতে গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে পা ডুবিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সেঁক নিতে পারে। এতেও কমবে গোড়ালির ব্যথা। ব্যথার তীব্রতা কমাতে গোড়ালিতে বরফ সেঁকও দেওয়া যায়।
অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে উঠে মাটিতে পা ফেলতে সমস্যা হয় এই ধরনের গোড়ালি ব্যথার কারণে। প্রতিদিন নিয়ম করে নিন্মোক্ত কয়েকটি কাজ করতে পারেন।
# ঘুম থেকে উঠে নীচে নামার পূর্বে খাটেই পা স্ট্রেচ করুন।
# মিনিট দশেক সময় স্ট্রেচিং করার পর পায়ের পাতা মালিশ করতে হবে।
# একটি টেনিস বল পায়ের পাতার তলায় রেখে গোড়ালি থেকে আঙুল পর্যন্ত ঘোরাতে হবে। শুধু সকালেই নয়, দিনের যে কোনও সময়ই এটি করতে পারেন। বলটি ঘোরানোর সময়ে হালকা করে তার উপর চাপও দেবেন।
তবে ব্যথা যদি তীব্র হয়ে থাকে, তাহলে এই সব নিয়ম মেনে চলার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।