দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত ডায়েট করলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেতে হয়। শুরুর দিকে খিদে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। ডায়েটের কারণে প্রবল খিদের জ্বালা হলেও কয়েকটি টোটকায় খিদে কম হবে আবার ওজন ঝরবে দ্রুত।
ডায়েট করার সময় আপনি কী ঠিক নিয়ম মেনে চলছেন? নাকি ডায়েটের মধ্যেই খিদে পেলে মুখে পুরছেন বাহারি স্ন্যাকস? অনেকেই ভাবেন পরিমাণে কম খেলেই বুঝি রোগা হওয়া যাবে। এমনটি কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। ডায়েট করলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেতে হবে। ডায়েট শুরুর দিকে খিদে পাওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। খিদে পেলে কীভাবে তা সামাল দেবেন, আপনাকে জানতে হবে সেই টোটকা।
ডায়েটের সময়ে খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী করবেন?
# খিদে পেলে বেশি করে পানি খেয়ে নিন। এই টোটকায় খিদে অনেকটাই কমে আসবে। পানি খেলে পেট ভরা থাকে। যে কোনও ডায়েট করার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এতে করে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলো তখন বেরিয়ে যায়। চাইলে বার বার ডিটক্স ওয়াটারও চুমুক দিতে পারেন।
# আপনি ডায়েটে বেশি করে ফাইবার জাতীয় খাবার রাখতেই পারেন। এই প্রকার খাবার খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। খিদেও কম পায়। ওটমিল, বার্লি, ফল এবং শাক-সব্জিতে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। খেতে পারেন মটর, শিম এবং বিভিন্ন প্রকার ডাল।
# সাধারণত প্রোটিনও কিন্তু খিদে কমাতে সাহায্য করে। ডায়েট করার সময় ৪ ঘণ্টা অন্তর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখলে তখন খিদে পাওয়ার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে।
# খাবার খাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করাই ভালো। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। আর খিদেও তখন কম পায়।
# নিজেকে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখতে হবে। ডায়েট শুরু করলে অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। যে কারণে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ তখন বেড়ে যায়। এমন হলে আমরা অজান্তেই বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি। আর তখন ওজন কিছুতেই কমে না। ডায়েট শুরু করার পূর্বে তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। নইলে শত চেষ্টাতেও আপনার ওজন কিন্তু কমবে না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।