দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে এমন খবরে জেলে-আড়তদার থেকে শুরু করে দেশের সাধারণ মানুষ খুশি।
‘মাছে ভাতে বাঙালি’র সেই প্রবাদ বাক্যটি এখন কল্পকাহিনীর মতো হয়েছে। মাছ এখন আর দেখায় যায় না। তবে আশার কথা হলো গত দু’সপ্তাহ হলো ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। তাই বাজরেও দাম বেশ কমেছে।
জানা গেছে, মৎস্য সম্পদের অভয়ারণ্য মনপুরার মেঘনায় মৌসুমের শেষ পর্যায়ে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালী ইলিশ। জেলেদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক। মেঘনায় জেলে পাড়ার জেলেরা মাছ শিকারে মহাব্যস্ত। জেলে পাড়ায় দেখা যাচ্ছে আনন্দ উল্লাস। মেঘনায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় অনেক জেলে আড়তদারদের দেনা পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে।
এবারের মৌসুমের শুরুতে ইলিশের তেমন একটা দেখা মিলেনি। মৌসুমের শেষ সময়ে জেলেদের জালে ইলিশের দেখা মিলছে। জেলেদের পেছনে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করছে মেঘনার আড়তদাররা। মাছ ধরা পড়ায় তারাও খুশি।
ওই এলাকার জেলেরা জানান, মেঘনায় প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় আল্লাহর রহমতে আমরা ভালই আছি। ইলিশ বিক্রি করে দেনা শোধ করে এ বছর আমরা ভালই থাকব।
আড়তদাররা বলেন, নদীতে মাছ ধরা পড়ায় আমরা ভালই আছি। জেলেদের সাপ্তাহিক বিল চালাতে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
অপরদিকে দেশের সাধারণ মানুষ যারা ইলিশের স্বাদ ভুলে যেতে বসেছিল তারাও খুশি মাছের এমন আমদানিতে। কারণ গত এক মাস আগেও এক কেজি ইলিশ মাছের দাম ছিল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি। এখন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে মাছ কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে সাধারণ মানুষ অন্তত সপ্তাহে একদিন হলেও ইলিশ মাছ কিনতে পারছেন।
তবে মাছ বেশি ধরা পড়ার কারণে কিছু আশংকা দেখা দিয়েছে আর তা হলো ভারতে পাচার। ভারতে পাচারের কারণে আমাদের দেশের বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যায়। গত সপ্তাহে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এমন সংবাদ পাওয়া যায়। তাতে বলা হয়, অবৈধ পথে প্রতিদিন ভারতে প্রচুর বাংলাদেশের ইলিশ মাছ পাচার হচ্ছে।
সীমান্তসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি একটু সতর্ক থাকে তাহলে দেশের মানুষ সাধ্যের মধ্যে ইলিশ মাছ আবার কিনতে পারবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।