দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যোগ বা শরীরচর্চা করেন অনেকেই। তবে কোন সময় শরীরচর্চা করলে সবথেকে বেশি উপকার পাওয়া যাবে, বিষয়টি নিয়ে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিনই ব্যায়াম করতে হবে। নইলে নানা ঘাতক অসুখ শরীরে বাসা বাঁধবে। তাই বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে ব্যায়াম কিংবা যোগ দিনের কোন সময় করলে বেশি উপকার পাবেন, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে রয়েছে বিভ্রান্ত। এই বিষয়ে পথ দেখিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ যোগ এবং ন্যাচেরোপ্যাথি কাউন্সিলের সভাপতি তুষার শীল।
তুষার শীলের কথায়, যোগ হলো- ওয়ে অব লাইফ। অর্থাৎ যেমন- আপনার খিদে পায়, ঘুম পায়, তেমনই যোগ কিংবা ব্যায়ামকেও জীবনের সঙ্গী করে তুলতে হবে। তবেই সুস্থ শরীর এবং মনের অধিকারী হতে পারবেন।
প্রতিদিন যারা কিছু সময় যোগাসন কিংবা শরীরচর্চা করেন, তারা বিভিন্ন ঘাতক অসুখ থেকে রক্ষা পেতে পারেন। সেইসঙ্গে পেশি, হাড়, পেট, নার্ভ, মন সুস্থ থাকে। তাই নিয়মিতভাবে যোগ করুন।
সকালে না বিকেলে, কোন সময় যোগাসন করবেন?
বিশিষ্ট যোগবিশারদ তুষার শীল জানিয়েছেন, এরকম কোনও ভাগ করে কোনই লাভ নেই। যে যখন সময় পাবেন তখনই করতে পারেন। এখনকার দিনে সময়ের বড়ই অভাব। তাই যখনই সময় পাওয়া যাবে শরীরচর্চা করুন। তবে যোগের নিয়ম হলো সময়ের সন্ধিক্ষণে অভ্যাস করা। অর্থাৎ রাত এবং সকালের মিলন অর্থাৎ ভোরবেলায় বা গোধূলিবেলাতেও ব্যায়াম করতে পারেন। এতেই সবথেকে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তবে এই সময়েই যে যোগ করতে হবে, এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
খেয়ে নাকি খালিপেটে যোগাসন করবেন?
খালি পেটে কিংবা খাবার খাওয়ার পরপরই ব্যায়াম করা মোটেও উচিত নয়। তবে সকালের দিকে খালি পেটে ব্যায়াম চালানো যেতে পারে। এছাড়াও দিনের যে কোনও সময় খালিপেটে ব্যায়াম করা চলবে না। এছাড়াও ভরাপেটে ব্যায়াম করলেও সমস্যায় পড়তে পারেন। খাবার খাওয়ার ৪০ হতে ৫০ মিনিট বাদে ব্যায়াম করুন। তবে দুপুরের খাবার খাওয়ার ২ হতে আড়াই ঘণ্টা পর ব্যায়াম করা উচিত বলে জানিয়েছেন তুষার শীল।
শরীরচর্চার কতোক্ষণ পর খাবেন?
নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম অবশ্য নেই। আপনি ব্যায়াম শেষ করে ২ থেকে ৩ মিনিট বিশ্রাম নিয়েও খেতে পারেন। তবে ব্যায়াম করার সময় ভারী কিছু খাবেন না। এমনকী জলও বেশি পরিমাণে পান করা চলবে না। খুব তেষ্টা চুমুক দিয়ে দিয়ে জলপান করতে পারেন। এর থেকে বেশি পরিমাণে খেলে সমস্যা হতে পারে।
দিনে কতোক্ষণ ব্যায়াম করবেন?
তুষার শীলের ভাষায়, প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। এই সময়টুকু ব্যায়াম করতে পারলে আপনি অনায়াসে সুস্থ থাকতে পারবেন। তবে আবারও বলবো, নিয়মিত ব্যায়াম করুন। আজ ব্যায়াম করার পর আবার ১৫ দিন বাদে করলে তেমন কোনো লাভই পাবেন না। অর্থাৎ খেপে খেপে ব্যায়াম করে লাভ নেই। বরং এক নাগাড়ে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। তবেই উপকার পাওয়া যাবে।
সহজ ব্যায়াম করুন
বর্তমানে ব্যাঙের ছাতার মতো জিমনেশিয়াম গড়ে উঠেছে। তবে জেনে রাখা দরকার যে, প্রশিক্ষিত ট্রেনার ছাড়া জিম করলে আরও নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন। এমনকী যোগের ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। তবে সহজ কিছু মুদ্রা আপনি করতে পারেন। তবে বয়স একটু বেশির দিকে হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করুন।
এছাড়াও চাইলে প্রতিদিন হাঁটতে পারেন। এতে কোনও অসুবিধার আশঙ্কাই নেই। হাঁটার মাধ্যমেই শরীর সুস্থ থাকে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।