দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্পূর্ণ হাতে তৈরি আকর্ষণীয় ডিজাইন দিয়ে হারমিজন খুব কম সময়ে এক ব্রান্ডে পরিণত হয়েছে। এখন বিশ্বের আলোড়ন সৃষ্টিকারী বারবি মুভিটির সাথে তাল মিলিয়ে হারমিজন নতুন হীল জুতার কালেকশন নিয়ে এসেছে।
আর এই দেশি ব্রান্ড হারমিজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হলেন রিফাতুল হক। তিনি দেশীয় এই শিল্পকে এক অন্য স্থানে তুলে এনেছেন। খুব কম সময়ের মধ্যে এই তরুণ উদ্যোক্তা দেশের ফুটওয়্যার ইন্ডাস্টিতে এক ব্রান্ড হিসেবে হারমিজনকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
আমরা সবাই জানি পুরো বিশ্বজুড়েই চলছে ‘বারবি ’ উন্মাদনা। বক্স অফিসে চুটিয়ে ব্যবসা করছে গ্রেটা গারউইগের মার্গট রবি অভিনীত ফ্যান্টাসি -কমেডি মুভিটি। এর ইতিহাসও একেবারে কাছের নয়। সেই ১৯৫৯ সালে প্রথম বাজারে আসে বারবি পুতুল। তারপর থেকেই জনপ্রিয় হয়ে উঠে পুতুলটি। এ বছর সেই জনপ্রি য়তা যেনো তুঙ্গে উঠেছে । চলচ্চিত্রটি নিয়ে প্রায় সব বয়সীদের মধ্যেই ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আর সেখান থেকেই এবার দেশি ফ্যাশান ব্রান্ড হারমিজন (Hermizon) নিয়ে এলো বারবি কালেকশন।
‘বারবি ’ সিনেমার ট্রেলারে দেখা যায়, বারবি অভিনেত্রী মার্গট রবি হঠাৎ বুঝতে পারেন তিনি হিল জুতা ফেলে এসেছেন পৃথিবীতে। সেই জুতা খুজঁতে পৃথিবীতে চলে আসেন। গোলাপি রঙে র হিল যেনো বারবি লুক দেওয়ার জন্যও বাধ্যতামলূক।
সেই চিন্তা থেকেই হারমিজন নিয়ে এসেছে গোলাপি রঙে র ৬টি বারবি -থিম হিলস ও ফ্লাট স্যান্ডেল। হারমিজন গত ২৮ জুলাই শুক্রবার এই বারবি কালেকশন একইসঙ্গে তাদের সব গুলো আউটলেট এবং অনলাইন স্টোরে উদ্বোধন করে। আর এই উদ্বোধনের সঙ্গেসঙ্গেই ‘বারবি ’ নিয়ে উৎসুক জনতা হারমিজন আউটলেটগুলোতে ভিড় করতে থাকে।
হারমিজন খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিপুণ হাতের কাজ করা চমৎকার সব ডিজাইন এবং আরাম দায়ক জুতার কারণে
দেশব্যাপী সাড়া জাগিয়েছে এবং শুধু অনলাইনেই তাদের প্রায় ১০ লাখ গ্রাহক আছে। অন্যান্য ফ্যাশন ব্র্যান্ড থেকে হারমিজন সম্পর্ণূ আলাদা একটি ব্রান্ড। এর কারণ হলো হারমিজনের প্রতিটি জুতায় হস্তশিল্পে র উপর জোর দেয়।
নান্দনিক ডিজাইন এবং আরামদায়ক জুতার তৈরির জন্য ব্রান্ডটি বাংলাদেশী কারিগরদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশ্বমানের এবং আরামদায়ক জুতা তৈরি করে। বাংলাদেশে এই ব্র্যান্ডটি তার মানসম্পন্ন পণ্যের জন্য ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে, যে কারণে এই বারবি কালেকশনগুলো দেশের ক্রেতাদের কাছে একটি জনপ্রিয় পছন্দে পরিণত হয়েছে।
হারমিজন প্রতিষ্ঠা যেভাবে
ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড হারমিজন দীর্ঘ চার বছর যাবত সফলতার সঙ্গে গ্রাহকদের কাছে আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল ফুটওয়্যার পৌঁছে দিচ্ছে। হারমিজনের সফলতার পেছনে যে মানুষটির অবদান তিনি হলেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাতুল হক। দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে একটি অত্যাধুনিক ব্র্যান্ড তৈরি করতে চেয়েছিলেন রিফাতুল হক। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতেই বিদেশে পড়াশোনার পর দেশে ফিরে আসেন। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন হারমিজন। রিফাত একাধারে প্রকৌশল ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন।
এই বিষয়ে এর প্রতিষ্ঠাতা রিফাতুল হক জানিয়েছেন, হস্তশিল্প ভিত্তিক ফ্যাশনেবল ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড হারমিজন। এর অত্যাধুনিক ডিজাইন ও আরামের নিশ্চয়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে রাখছে আমাদের নিজেদের পদচিহ্ন। সাশ্রয়ী মূল্যে ও আরামদায়কতা হারমিজনকে জায়গা করে দেয় গ্রাহকদের মনেও। আমাদের প্রতিটি পণ্য তৈরি হয় স্থানীয় হস্তশিল্প কারিগর দ্বারা। পণ্যের গুণমানের ক্ষেত্রে এক চুলও ছাড় দিতে নারাজ আমরা। হারমিজনে পাওয়া যায় হাল ফ্যাশনের হিল, জুত্তি, কোলাপুরি, গ্রীষ্মকালীন ফ্ল্যাটস, স্লাইডস ও জমকালো পাম্প জুতোও।
রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি ও মিরপুরে রয়েছে হারমিজনের আউটলেট। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও ২৮টি আউটলেট স্থাপন করতে অংশীদারত্ব করেছে রিটেইল শপ ‘স্বপ্ন’র সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ার জগতেও হারমিজন অনেক জনপ্রিয়। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে রয়েছে প্রায় ১০ লাখ ফলোয়ার। তারা দেশের ভেতরে ও বাইরে পণ্য হোম ডেলিভারি দিয়ে থাকি। হারমিজন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী নারীদের মধ্যে। আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও জমকালো ডিজাইন এই ব্রান্ডকে করে তুলেছে নারীদের প্রথম পছন্দ। যে কারণে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিশ্বস্ত গ্রাহকের সংখ্যা।
রিফাতুল হক জানান, ডিজাইনার ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড হিসেবে হারমিজন গত চার বছরে উল্লেখযোগ্যহারে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের অগণিত সফলতার মধ্যে সবচেয়ে বড় সফলতা হলো বর্তমানে আমরা ১০ লাখেরও বেশি অনন্য গ্রাহকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। মাইলফলকটি আমরা অর্জন করতে পেরেছি পণ্যের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ও আমাদের গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে। যারা তাদের ফুটওয়্যারের প্রয়োজনে আমাদের উপর ভরসা করেন। আমরা সব সময় গ্রাহকদের মর্জাদা রক্ষার জন্য মানসম্পন্ন জুতা তৈরি করি। আমরা আগেই বলেছি পণ্যের গুণমানের ক্ষেত্রে এক চুলও ছাড় দিতে নারাজ আমরা।