দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, খাবার ঠিকমতো চিবিয়ে না খেলে তার সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ শরীর গ্রহণ করতে পারে না। বিশেষ করে খাবারের অধিকাংশ ভিটামিনেরই অপচয় হয়ে যায়। তাছাড়া এই কারণে ওজন কমাতে সমস্যায় পড়তে পারেন।
অনেকেই অফিস বেরোনোর তাড়া থাকায় খাওয়ার সময় হয় না। যে কারণে তাড়াহুড়া করে না চিবিয়ে কোনো মতে খাবার খেয়ে অফিসে চলে যান। এটি মোটেও ঠিক নয়। সময় নিয়ে চিবিয়ে খাবার খেলে আর কী কী লাভ হয় তা কী আপনি জানেন?
হয়তো আপনি খুব তাড়াহুড়োয় আছেন? ভাবছেন, তাড়াতাড়ি খাবার খেয়েই ছুটতে হবে। তাই কোনও রকমে খাবার শেষ করে ফেললেন। এতে ক্ষতি হতে পারে আপনার শরীরের। কারণ হলো, খাবার ঠিক করে না চিবোলে বহু ধরনের জীবাণু সংক্রমণও ঘটতে পারে। এক বার খাবার মুখে নেওয়ার পর কতোবার চিবিয়ে নিতে হবে? তারও হিসাবও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, অন্ততপক্ষে ৩০ বার চিবোতে হবে।
খাবার যতোবেশি বার চিবিয়ে নেবেন, ততোই এটি ভাঙবে ও লালারসের সঙ্গে মিশবে। তাতে এর মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুগুলোও মারা যাবে। তবে দ্রুত খাবার খাওয়ার তাড়ায় সেটি গিলে নিলে ওইসব জীবাণু পেটে চলে যায়। কোন কোন কারণে ধীরে সুস্থে খাবার খাওয়াটা জরুরি।
# ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে খাবার চিবিয়ে খাওয়াটা জরুরি। খাবার অনেকক্ষণ ধরে চিবিয়ে খেলে বিপাকহার বাড়ে। অনে ক্ষণ ধরে খাবার খেলে অল্পতেই পেট ভর্তি মনে হবে। তাই বেশি খাওয়ার প্রবণতাও তখন কমে আসে।
# খাবার ঠিক করে চিবিয়ে না খেলে ঠিক করে হজমও হয় না। যারা তাড়াহুড়ো করে খাবার না চিবিয়ে গিলে নেন, তাদের অ্যাসিডিটির সমস্যাও বাড়তে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org