দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্ট্রোকের কারণে প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে বহু মানুষ প্রাণ হারান। কিছু অভ্যাস আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি। কী সেই অভ্যাস?
পুরো বিশ্বে হৃদরোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সেখান থেকে ঝুঁকি বাড়ছে স্ট্রোকেরও। ব্যস্ততম জীবনে বাইরের খাবারই একমাত্র ভরসা। সেইসঙ্গে অত্যাধিক মানসিক চাপ, পরিশ্রম, নিজের সঠিক যত্ন না নেওয়া, সঠিক সময় খাবার না খাওয়ার অনিয়ম তো আছেই। যে কারণে অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্ট্রোক হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাটিও একেবারে কম নয়। প্রতিবছর বিশ্ব জুড়ে অসংখ্য প্রাণ যায় এই মারণরোগে। তবুও অসচেতনতার যেনো অন্ত নেই। কোন অভ্যাস বাড়িয়ে দিতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি?
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ৮০ শতাংশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি। অতিরিক্ত লবণ, চিনি এবং স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে স্ট্রোকের আশঙ্কা। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল ডেকে আনতে পারে বড় ধরনের বিপদ। যারা আগে থেকেই ঝুঁকিসম্পন্ন, তাদের ডিমের কুসুম এবং মাংস খাওয়া ছাড়তে হতে পারে।
ধূমপান
ধূমপানের কারণে শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করে থাকে। এমনকি, পরোক্ষ ধূমপানেও প্রবল ক্ষতি হয় শরীরের। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও যায় কমে। যে কারণে ফুসফুসের পাশাপাশি ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রের।তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org