দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে আরও বাড়িয়ে দেয়। তবে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা জানাচ্ছে যে, প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসে কমতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি।
ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা দিনকে দিন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। যতোই দিন যাচ্ছে ক্যান্সার আরও বেশি সংখ্যক মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর এক তথ্য বলছে যে, প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এছাড়াও, ক্যান্সার আক্রান্তদের বয়সসীমাও কমছে। কম বয়সিদের মধ্যেও ক্যান্সারের ঝুঁকি দিনকে দিন বাড়ছে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি। ওজন বেশি বেড়ে গেলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ে। সেই ঝুঁকি কমাতে নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা করতে হবে। ব্যায়াম না করলে ওজন কমানোও সম্ভব নয়। স্থূলতার কারণে বৃদ্ধি পেতে পারে স্তন, কোলন এমনকি পাকস্থলীর ক্যান্সারও।
সুষম ডায়েট
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে খাওয়া-দাওয়ায় নজর দেওয়াটা জরুরি। বাইরের খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে শাকসব্জি, ফলমূল আরও বেশি করে খেতে হবে। শাকসব্জি ও ফলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো উপাদান, যা ক্যান্সারের জীবাণুকে সমূলে বিনাশ করে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে
রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তিও প্রয়োজন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে ক্যান্সারের মতো মারণরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু ক্যান্সার কেনো, প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে যে কোনও রোগ জাঁকিয়ে বসতে পারে শরীরে। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলে নিয়মিত শরীরচর্চা করাটা জরুরি। সেইসঙ্গে আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org