দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিশর পরিস্থিতি আবারও ঘোলাটে হয়েছে। আদালত মুসলিম ব্রাদারহুডের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্র জানিয়েছে, মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুসলিম ব্রাদারহুডের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির এক আদালত। একই সঙ্গে ব্রাদারহুডের অঙ্গ সংগঠনগুলোর কার্যক্রমও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে আদালত। গতকাল সোমবার কায়রোর প্রশাসনিক আদালত বলেছে, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধের এ রুল ইসলামি সংগঠনটি, তার বেসরকারি শাখা সংগঠন এবং এর থেকে জন্ম নেওয়া যেকোনো সংগঠনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।’
‘ইসলামী শাসন’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মুসলিম ব্রাদারহুড। ইসলামী শারিয়া আইন প্রতিষ্ঠা ও ইসলামপন্থী নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার আদর্শে তারা তৎপর ছিল। হোসনি মুবারকের শাসনামলে মিসরে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৎপরতা চালানোর সুযোগ ছিল না ব্রাদারহুডের। তারপরও প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই দলটির সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভালো জনসমর্থন পেয়েছে। ৮০ বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষার পর গত বছর তারা প্রথমবারের মতো মিসরের ক্ষমতায় আসে। তবে শেষ পর্যন্ত তা এক বছরও ধরে রাখতে পারেনি। মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তার দলের প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে গত ৩ জুলাই মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। এর প্রতিবাদে ইসলামপন্থীরা দেশব্যাপী আন্দোলনে নামলে তা কঠোরভাবে দমন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর জেরে এখন পর্যস্ত সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। মুরসি ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির হয়ে গত বছর নির্বাচিত হয়েছিলেন।