দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমার নাম ঘোষণার পর শোনা যাচ্ছিল বিভিন্ন অভিনেত্রীর নাম। দুই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই এবং চরকির সঙ্গে ছবিটি প্রযোজনা করবে কলকাতার এসভিএফ।
সে কারণে ধারণাই করা হচ্ছিল যে, এতে একজন টালিউডের নায়িকা থাকবেন। সম্প্রতি চরকির পক্ষ হতে জানানো হয়, ‘তুফান’ ছবিতে অভিনয় করবেন টালিউডের মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের অভিনেত্রী নাবিলা।
এই সম্পর্কে মিমি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার প্রায় যাওয়া হয়। কখনও কাজে কখনওবা ঘুরতে। সেখানে কাজ করাটা আমার জন্য সবসময় বেশ আনন্দের। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে এটাই আমার প্রথম সিনেমা হতে চলেছে।
দুই দেশের ৩টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক হয়েছে এই সিনেমার মধ্যেদিয়েই। সব মিলিয়ে আমি ভিষণ এক্সসাইটেড। দর্শকরাও দুর্দান্ত কিছু পেতে যাচ্ছেন।’
এর মাধ্যমে দীর্ঘ বিরতির পর বড়পর্দায় ফিরতে যাচ্ছেন ‘আয়ানাবাজি’ সিনেমার মাধ্যমে নজরকাড়া নাবিলা ।
ছবি সম্পর্কে নাবিলা বলেন, ‘একরকমের আনন্দ তো কাজ করছে। সেইসঙ্গে এতোদিন পর বড় পর্দায় ফেরার একটা উত্তেজনা রয়েছে। এখন শুটিং শেষ করে দর্শক পর্যন্ত পৌঁছানোর প্রক্রিয়া ভালোভাবে শেষ হলে তবে আমরা সার্থক হবো।’
শাকিব খানের বিপরীতে মিমি এবং নাবিলাকে চুক্তিবদ্ধ করে তৃপ্তির ঢেুকুর তুলছে তিনটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই। তারা মনে করেন, এই ছবি মুক্তি পেলে দর্শকরা ঠিকই সিনেমা হলে হুমড়ি খেয়ে পড়বে। এছাড়াও ছবিটি যেহেতু পরিচালনা করবেন রায়হান রাফী, তাই তাদের প্রত্যাশাও রয়েছে আকাশচুম্বী।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org