দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘তুফান’ বেশ সাফল্যের সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে রাজত্ব করছে। আর ইউটিউবে রাজত্ব করছে এই ছবিটির গানগুলো। এবার এই ছবির ‘লাগে উরা ধুরা’ গানটি উঠে এলো বিশ্ব সেরা গানের তালিকায়।
ইউটিউবে বিশ্বব্যাপী সেরা ১০০ গানের তালিকার প্রথম ৪-এ অবস্থান করছে ‘তুফান’ এর ‘লাগে উরা ধুরা’ গানটি।
সিনেমা প্রেমীরা বলেছেন, রায়হান রাফি পরিচালিত ‘তুফান’-এর ‘লাগে উরা ধুরা’ গানের এই সাফল্য বাংলা সঙ্গীতে নিঃসন্দেহে গর্বের! মাত্র দুই মাসে এমন সাফল্য সত্যিই অভূর্তপূর্ব।
সোশ্যাল মিডিয়াতে, ‘লাগে উরা ধুরা’ গানে রিলস তৈরি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ। দু’টি ইউটিউব মিলিয়ে গানটি ভিউ ছাড়িয়ে গেছে ১০০ মিলিয়ন। এই গানের সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন প্রীতম হাসান এবং অন্তরা রায় চৌধুরী। তারা এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির কথা লেখেন রাসেল মাহমুদ, শরিফ উদ্দিন ও মিউজিক করেন প্রীতম এবং রাজ্জাক দেওয়ান। শাকিবের সঙ্গে গানটিতে পারফর্ম করেছেন কলকাতার খ্যাতিমান অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মিমি চক্রবর্তী এবং নাবিলা। আরও দেখা গেছে- মিশা সওদাগর, গাজী রাকায়েত, সুমন আনোয়ার, সালাহউদ্দিন লাভলু, ফজলুর রহমান বাবু, চঞ্চল চৌধুরীসহ অনেকেই।
কোরবানি ঈদে দেশের শতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় আলফা আই প্রযোজিত শাকিব খান অভিনীত ‘তুফান’। মুক্তির পঞ্চম সপ্তাহেও সিনেমাটি দেশের ৭৯টি প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি বিশ্বের ১৭টি দেশে চলছে। ইতিমধ্যেই ‘তুফান’কে অলটাইম ব্লকবাস্টার ঘোষণা দিয়েছেন সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org