দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে এবার ইরান ইসরায়েলে যে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তার দিনক্ষণ সম্পর্কে তেলআবিবকে সম্পূর্ণ অন্ধকারেই রাখা হবে- এমন তথ্য উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের খবরে।
আর এমন একটি ঘোষণা দিয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী কিংবা আইআরজিসির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী মোহাম্মাদ নায়িনি।
সংবাদ সংস্থা ইরনারর এক তথ্যে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে আইআরজিসির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী মোহাম্মাদ নায়িনি বলেছেন, ইরানের এবারের প্রতিক্রিয়া ইসরাইলের বিরুদ্ধে এর আগে চালানো অভিযানগুলোর মতো হবে না।
জেনারেল নায়িনি আরও বলেন, ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করতে গিয়ে ইসরায়েল বেশ কয়েকটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে যার একটিও অর্জিত হয়নি। ইসরায়েল মনে করেছিল যে, তারা গাজা উপত্যকার যুদ্ধে যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে হানিয়াকে হত্যা করে সেটি পুষিয়ে নেবে। তবে তাদের সেই ধারনাকে ভুল প্রমাণ করে গাজায় হামাসের অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে গত ৩১ জুলাই তেহরানে ইসরায়েলের গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতাসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় সেনা কমান্ডাররা তাদের অতিথি ইসমাইল হানিয়াকে গুপ্তহত্যায় ইসরায়েলি পদক্ষেপের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকিও দেন।
এই সম্পর্কে আইআরজিসির মুখপাত্র আরও বলেন, ইরানের সেনা কর্মকর্তারা অ্যাকশনে যাওয়ার পূর্বে সতর্কতার সঙ্গে এর সকল দিক পর্যালোচনা করে দেখছেন।
তারা ইসরায়েলের সব হিসাব-নিকাশ ব্যর্থ করে দিতে সুনির্দিষ্ট এবং সুপরিকল্পিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। জেনারেল নায়িনি বলেন, সময় এখন ইরানের অনুকূলে ও প্রতিশোধমূলক হামলাটির জন্য ইসরায়েলকে দীর্ঘদিন অপেক্ষাও করতে হতে পারে। ততোদিন দখলদারকে অবশ্যই ভারসাম্যহীন অবস্থাতেই থাকতে হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org