দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইন্টারনেট বর্তমানে আমাদের জীবনের সঙ্গে মিশে আছে। ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের এক মুহূর্ত চলে না। প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা ব্যক্তিগত জীবনেও ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তথ্য আদান প্রদান হতে শুরু করে সকল কাজেই ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হয়। তবে কাজে ব্যাঘাত ঘটে ঠিক তখনই, যখন ইন্টারনেটের গতি একেবারে কমে যায়। ধীরগতির ইন্টারনেটে কাজ করা অনেকটাই বিরক্তিকর হয়ে যায়। নানা কারণে ইন্টারনেটের গতি কমে যেতেই পারে।
তবে এর থেকে মুক্তির উপায়ও রয়েছে। আজ জেনে নিন কি উপায়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করা যাবে।
ফোন রিস্টার্ট করা
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের যে কোনো সমস্যা সমাধানের একটি সহজ উপায়ই হলো ফোন রিস্টার্ট করা। যদি ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে ফোন রিস্টার্ট করে খানিকটা অপেক্ষা করে আবারও ইন্টারনেট চালু করতে হবে। এতে করে ইন্টারনেট গতির সাধারণ ত্রুটি থাকলেই ঠিক হয়ে যাবে।
হালনাগাদ সফটওয়্যার ব্যবহার
অপারেটিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন সফটওয়্যার হালনাগাদ না করলে ফোন ধীরগতিতে কাজ করার কারণেও অনেক সময় ইন্টারনেট ব্যবহারে সমস্যা হয়। তাই সব সময় হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা ও যেসব অ্যাপ ব্যবহারের সময় ইন্টারনেট ধীরগতিতে কাজ করে, সেগুলোকে হালনাগাদ করতে হবে।
ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ বন্ধ
আপনার ফোনে অনেক অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার না করলেও অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু হয়ে থাকে। এছাড়াও অ্যাপগুলো ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় ডেটা খরচ করার পাশাপাশি গতিও তখন কমিয়ে দেয়। তাই ফোনে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্য অবশ্যই ব্যাকগ্রাউন্ডে সচল থাকা সব অ্যাপই বন্ধ করে রাখতে হবে।
ভিপিএন ব্যবহার
ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করলে অনলাইনে নিরাপত্তা বাড়লেও ইন্টারনেটের গতি কিছুটা হলেও কমে যায়। তাই ভিপিএন ব্যবহারের পরিবর্তে সাধারণভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে।
অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করা
পপআপসহ বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন থাকলে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে বেশি সময়ের দরকার হয়। তাই অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করলে ইন্টারনেটের গতি কিছুটা কম থাকলেও দ্রুত ওয়েবসাইটে প্রবেশও করা যাবে।
ক্যাশ মেমোরি মুছে ফেলা
আপনার ফোনে যে অ্যাপই ব্যবহার করেন না কেনো, তা নিয়মিত তথ্য জমা করে, যা ক্যাশ মেমোরি নামেই পরিচিত। এই ক্যাশ মেমোরি বেশি থাকলে ফোন ধীরগতির হয়ে যায় ও ইন্টারনেটের গতিও কমে যায়। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের পর অ্যাপ থেকে নিয়মিতভাবে ক্যাশ মেমোরি মুছে ফেলতে হবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org