দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাশার আল-আসাদের পতনের পর হতেই সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলা ক্রমশ আরও বেড়ে গেছে। শুধু আক্রমণ চালানোই নয়, দেশটির সীমান্তবর্তী বেশ কিছু এলাকা দখলের চেষ্টাও অব্যাহত আছে।
গাজা ওএবং লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের কারণে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় ১৪ মাস ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গত ২৭ নভেম্বর হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয় ইসরায়েলের।
তবে যুদ্ধবিরতির দিনই জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা এবং আইএস থেকে উদ্ভূত হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস) ও আরও কিছু বিদ্রোহী দল সিরিয়ার ইদলিব এবং আলেপ্পোতে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়।
মাত্র ১২ দিনের তীব্র আক্রমণের কারণে ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণও নেয়। এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে ২৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সপরিবারে বিমানে করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
আর এর মধ্যদিয়ে আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছে। অত্যাচারী একনায়কের পতনকে উদযাপন করেছেন সিরীয় জনগণ। ইতিমধ্যে নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এই সরকার দেশটিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসবে এমনটিই প্রত্যাশা সিরীয়দের।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org