দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘কেজিএফ’ তারকা যশের পরবর্তী সিনেমা ‘টক্সিক’। যার জন্য মুখিয়ে আছেন ভক্তরা। তবে অপেক্ষা যে মধুর হতে চলেছে, তার নমুনা দেখা গেছে সম্প্রতি টিজার প্রকাশের পর!
‘কেজিএফ’ তারকা যশের জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশ্যে এলো তার আসন্ন সিনেমা ‘টক্সিক’-এর এক ঝলক! ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে এটি ভাইরাল হয়েছে!
এই তারকার জন্মদিনে মুক্তি পেয়েছে ‘টক্সিক’ -এর টিজার। যেখানে রীতিমত দুর্ধর্ষ লুকে উপস্থিত হন যশ। টিজারে দেখা যায় যে, চকমকে আলোতে এক বার ক্লাবের সামনে বনেদি গাড়ি হতে নামেন যশ! অপরদিকে ক্লাবের ভেতরে লাস্যময়ীদের মহা ভিড়! মাস্তি ও নেশায় মগ্ন সকলেই! এরমধ্যেই চুরুট ফুঁকতে ফুঁকতে এন্ট্রি নিলেন যশ। লাস্যময়ীদের সঙ্গে নিজেও মাস্তিতে মেতে উঠেন তিনি!
এই টিজার নিয়ে নেটদুনিয়ায় হইচই পড়ে গেছে। সত্যি সত্যিই কেজিএফ স্টারকে যথেষ্ট ‘টক্সিক’ হিসেবেই পরিচয় করিয়ে দিলেন নির্মাতা গীতু মোহনদাস।
এই সিনেমাটির সহপ্রযোজনাতেও রয়েছেন যশ। শুরুতেই শোনা গিয়েছিল, যশের এই সিনেমার মাধ্যমেই দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে যাচ্ছিলেন কারিনা কাপুর। তবে ডেট নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার কারণে এই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন কারিনা কাপুর। পরে কারিনার জায়গায় শোনা যাচ্ছিল কিয়ারা আদভানি এবং নয়নতারার নাম। যদিও ছবির টিজারে আর কাওকেই দেখা যায়নি!
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ‘টক্সিক’ সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের এপ্রিল মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। ড্রাগ মাফিয়াদের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই অ্যাকশন ছবিতে যশ থাকায় ‘টক্সিক’ নিয়ে উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে দর্শকমহলে।
দেখুন টিজারটি
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org