দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীর সবচেয়ে দামি এবং অন্যতম জনপ্রিয় ফোনগুলোর একটি হলো আইফোন। অনেকের স্বপ্ন থাকে একটি আইফোন ব্যবহার করার। অনেকেই আবার এটিকে সামাজিক অবস্থান কিংবা স্ট্যাটাসের প্রতীকও মনে করেন।
একটি আইফোনে বেশ কয়েক বছর সফটওয়্যার এবং নিরাপত্তার আপডেট দিয়ে থাকে অ্যাপল। তাই ব্যবহারকারীরা অনেক দিন একটি আইফোন ব্যবহার করতে পারেন। তবে ব্যাটারির ক্ষেত্রে অ্যাপলের সেট নিয়ে অনেকেই বিরক্ত হয়ে থাকেন। এক বছর ব্যবহারের মধ্যে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে যেতে থাকে এবং প্রসেসরে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করতেও ব্যর্থ হয়। যে কারণে ফোনের গতি তখন ধীর হয়ে যায়। সেজন্য ব্যাটারির হেলথ পরীক্ষা করেন ব্যবহারকারীরা। তবে অ্যাপেল বলছে যে, আইফোনে থাকা তিন ধরণের সুবিধা ব্যাটারির কার্যক্ষমতা ব্যাটারির স্থায়িত্ব আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আইফোনে থাকা অটো-ব্রাইটনেস, অটো-লক ও লোকেশন সার্ভিস সুবিধা ব্যবহারে সামান্য পরিবর্তন আনলে ব্যাটারির স্থায়িত্ব দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
ব্যাটারির স্থায়িত্ব আইফোনের তিন সেটিংস পরিবর্তনের কৌশলগুলো জেনে নিন।
অটো-ব্রাইটনেস
আসলে অটো-ব্রাইটনেস এমন একটি ফিচার যা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা আরও বাড়ায়। এ ছাড়াও এটি চারপাশের আলো অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সামঞ্জস্য করে। এটি বিল্ট-ইন লাইট সেন্সর ব্যবহার করার মাধ্যমে চারপাশের আলো অনুযায়ী স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা বাড়ায় কিংবা কমায়। যা পড়ার সুবিধা তৈরি করে, চোখের চাপ কমায় ও ডিভাইসের ব্যাটারির জীবন বাড়াতে সাহায্য করে।
অটো-ব্রাইটনেস খুঁজে পেতে, Settings খুলুন ও Accessibility-এ যান। তারপর Display and Accessibility নির্বাচন করুন ও Display and Text Size-এ যান। সেখানে স্ক্রল করেই Auto-Brightness অপশনটি বন্ধ করে দিন। এটি ডিভাইসকে চারপাশের পরিবেশ অনুযায়ী উজ্জ্বলতা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সামঞ্জস্য করা হতে বিরত রাখবে।
তাছাড়াও এই মেনু থেকে Night Shift চালু করা ব্যাটারি স্থায়ীত্ব বাড়াতেও সাহায্য করবে। এই ফিচারটি সময় ও আপনার আইফোনের জিওলোকেশন ব্যবহার করে সূর্যাস্তের সময় অনুযায়ী স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে পরিবেশের আলো অনুযায়ী সামঞ্জস্যও করে।
অটো-লক
এই ফিচারটিও ডিভাইস নির্দিষ্ট সময় নিষ্ক্রিয় থাকার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বন্ধ এবং লক করে দেয়। এটি যতো কময় সময় নিয়ে সেটআপ করা থাকবে ততোই কম সময়ে ফোনের স্ক্রিন ওপেন থাকবে। অ্যাপেল বলেছে যে, ব্যবহারকারীদের এই ফিচারটিও চালু রাখা উচিত।
এটি খুঁজতে হলে, Settings-এ যান ও Display and Brightness নির্বাচন করুন। তারপর স্ক্রল করে Auto-Lock অপশনটি খুঁজুন ও ব্যাটারির জীবন বাড়াতে সময় কমিয়ে দিন।
অ্যাপলের পরামর্শ হলো, Always-On ফিচারটিও বন্ধ করে দিন। এই ফিচারটি লকড অবস্থায়ও নোটিফিকেশন প্রদর্শন করার জন্য স্ক্রিনকে ডিম করে চালু রাখে। যদিও এই ফিচারটি ব্যাটারি ড্রেন কমানোর জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বন্ধ করলে ব্যাটারি আরও বেশি সাশ্রয় হতে পারে। এই সেটিংসটি ডিফল্টভাবে চালু থাকে ও Auto-Lock ফিচার খুঁজতে যেভাবে যান, ঠিক সেভাবেই পাওয়া যাবে।
লোকেশন সার্ভিসেস
অনেক অ্যাপ ইনস্টল করার সময় ব্যবহারকারীর অবস্থান শনাক্তের জন্য অনুমতিও চেয়ে থাকে। তারজন্য লোকেশন সার্ভিস চালু রাখতে হয়। তবে লোকেশন সার্ভিস চালু থাকলে অ্যাপগুলো জিপিএস ব্যবহার করে ক্রমাগত ডেটাও সংগ্রহ করে, যা ব্যাটারির ওপর বাড়তি চাপও ফেলে থাকে।
লোকেশন সার্ভিসেস বন্ধ করা ব্যাটারি সাশ্রয়ে বেশ সহায়ক। কারণ হলো, জিপিএস (GPS) ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর অবস্থান ক্রমাগত ট্র্যাক করা ব্যাটারি শক্তি ব্যাপকভাবে ক্ষয় করে থাকে।
এই সেটিং বন্ধ করতে হলে, Settings-এ যান ও তারপর Privacy & Security নির্বাচন করুন। সেখান থেকে, অ্যাপ নির্বাচন করুন ও Location Services খুলুন। আপনি যেসব অ্যাপ লোকেশনে প্রবেশ করতে পারেন তা দেখতেও পাবেন। অ্যাপগুলোর জন্য Location Services বন্ধ করে দিন বা শুধুমাত্র যেগুলোর ট্র্যাকিং চান না, সেগুলো বন্ধ করতে পারেন।
অ্যাপলের এক তথ্যমতে, আইফোনে ডিফল্টভাবে সক্রিয় থাকলেও সুবিধাগুলোর সেটিংস পরিবর্তন করে আইফোনে ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়ানো যাবে।
তাছাড়াও Low Power Mode চালু করে ব্যাটারি খরচও কমানো যাবে। অবশ্য এটি ব্যবহারের মসৃণতা ও ডিসপ্লের গুণমানে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলতে পারে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
Bengali 
English