দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে দু’জনেই যৌবনে পা রেখেছেন। তবে পুরনো সহপাঠীকে কিছুতেই ভুলতেই পারেননি ওই তরুণী। শেষমেশ নির্দিষ্ট অ্যাপে ভিডিও পোস্ট করে প্রিয় বন্ধুর সম্পর্কে খোঁজ পান তিনি।

সপ্তম শ্রেণী কিংবা অষ্টম শ্রেণির ঘটনা। ক্লাসে বসে মন দিয়ে পড়াশোনা করছিলো এক কিশোরী। সেই সময় এক কিশোর ক্লাসের ভিতর ঢুকে পড়ে। সে ছিলো ক্লাসের নতুন সহপাঠী। চীনের বাসিন্দা হলেও সপরিবার আমেরিকায় চলে যান কিশোর। আমেরিকার একটি স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছিল ওই কিশোরকে। ২০১৭-১৮ সালে সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণিতে আমেরিকার আইওয়ার একটি স্কুলে ভর্তি হয় সে। আর সেখানেই তার আলাপ হয় এক কিশোরীর সঙ্গে। দু’জনেই একে অপরের প্রিয় বন্ধুও হয়ে ওঠে। তবে এক বছর পর কিশোর আবার চীনে চলে আসে।
এরপর কেটে গেছে ৮টি বছর। কিশোর বয়স কাটিয়ে দু’জনেই যৌবনে পা রেখেছেন। তবে পুরনো সহপাঠীকে কিছুতেই যেনো ভুলতে পারেননি তরুণী। শেষমেশ নির্দিষ্ট অ্যাপে ভিডিও পোস্ট করে প্রিয় বন্ধু সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। ছোটবেলার ছবিও দেখান ওই তরুণের। এরপর হয় ‘ম্যাজিক’। ৮ বছর পর আবার পুরনো বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ হয় ওই তরুণীর। তরুণীর সেই ভিডিও কথা এক বন্ধু মারফত জানতে পারেন তরুণও। এরপর সেই ভিডিওতে ‘কমেন্ট’ করে নিজের পরিচয়ও দেন প্রিয় বন্ধু।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর হলো, ক্যাথারিনা সেলিয়া আমেরিকার একজন বাসিন্দা। চায়না অ্যাপে সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করে পুরনো বন্ধুর কথা জানিয়েছেন তিনি। ক্যাথারিনা বলেন যে, ‘‘তখন সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। ২০১৭-১৮ সালে আমার স্কুলে সাইমন নামে একজন ভর্তি হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে আমাদের বন্ধুত্বও গড়ে উঠেছিল। তবে এরপর আবার চীনে চলে যায় সাইমন। ওর কথা খুবই মনে পড়ে আমার।’’
সাইমনের কথা বলার পর তার কিশোর বয়সের ছবি দেখান ক্যাথারিনা। আমেরিকান তরুণীর ভিডিও দেখে সাইমনের এক বন্ধুর চোখে পড়ে যান। এরপর সেই ভিডিওতে ‘কমেন্ট’ করে নিজের পরিচয় জানিয়ে দেন সাইমন।
‘দ্য স্টার’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যাথারিনা বলেন, ‘‘পুরনো বন্ধুকে ফিরে পেয়ে আমি খুবই খুশি। আমরা বহুক্ষণ কথা বলি। পুরনো দিনের কতো গল্প রয়েছে আমাদের মধ্যে। আমায় অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন যে, আমি আর সাইমন যেনো সম্পর্কে আসি। তবে সে আমরা ভালো বন্ধু। আমি সেই বন্ধুত্বেই থাকতে চাই।’’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org