দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে থাকা দু’টি ‘জিরো ডে’ ত্রুটিসহ অন্তত ৪৮টি ত্রুটির সন্ধান মিলেছে। বিষয়টি জানতে পেরে ত্রুটিগুলোর সমাধান করে নতুন নিরাপত্তা আপডেটও উন্মুক্ত করলো গুগল।
গুগলের এক তথ্যে জানা যায়, অ্যান্ড্রয়েড থাকা জিরো-ডে ত্রুটিগুলো কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের অজান্তেই স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানো ও দূর থেকে ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে হ্যাকাররা। তাই সাইবার হামলা হতে নিরাপদ থাকতে দ্রুত ‘ফেব্রুয়ারি ২০২৫ নিরাপত্তা আপডেট’টি ব্যবহার করতে হবে।
গুগল জানিয়েছে যে, অ্যান্ড্রয়েডে থাকা একটি জিরো ডে ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই হ্যাকাররা সাইবার হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অপর জিরো ডে ত্রুটির মাধ্যমে এখনও সাইবার হামলা চালানোর কোনো প্রমাণ অবশ্য পাওয়া যায়নি। তবে এই দু’টি ত্রুটিই ভয়ংকর। তাই সাইবার হামলা হতে নিরাপদ থাকতে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোনে অবশ্যই নতুন নিরাপত্তা আপডেটও ব্যবহার করতে হবে।
প্রাথমিকভাবে গুগলের তৈরি পিক্সেল ফোনের জন্য অ্যান্ড্রয়েডের নিরাপত্তা আপডেটও উন্মুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য এই নিরাপত্তা আপডেটটি উন্মুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে গুগল। ত্রুটিগুলোর কারণে যে কোনো সময়ই সাইবার হামলার কবলে পড়ার আশঙ্কা থাকায় উন্মুক্তের পরপরই নিরাপত্তা আপডেট দ্রুত ব্যবহারের পরামর্শ দেয় গুগল।
জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটি মূলত এটি সফটওয়্যারের দুর্বলতা। নিজেদের তৈরি সফটওয়্যারে ত্রুটি শনাক্ত হলেই দ্রুত সমাধান করে নিরাপত্তা প্যাঁচ উন্মুক্ত করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তবে প্যাঁচ উন্মুক্তের পূর্বে হ্যাকাররা যদি সেই ত্রুটি ব্যবহার করতে পারেন, তখন সেটিকে জিরো ডে নিরাপত্তাত্রুটিই বলা হয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org