দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যতো দিন গড়াচ্ছে ততোই প্রযুক্তির উৎকর্ষ আমাদের দৈনন্দিত জীবনকে এক আনন্দময় করে তুলছে। মানুষের অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম সহায়ক হয়ে উঠেছে এই প্রযুক্তি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের এক তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যার বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার ১.৭৪ শতাংশ। নিজেদের শহর-গ্রাম এবং ঘর ছেড়ে আসা মানুষগুলোকেও ফেলে আসার কষ্ট তাড়িয়ে বেড়ায় একাকিত্ব। ঘরে ফেরার আকুলতা এবং প্রিয় মানুষদের অভাববোধ তারা প্রতিনিয়তই বোধ করে থাকেন। তবে তাদের এই কষ্ট লাঘবে বিশেষ ভূমিকা রাখছে আধুনিক প্রযুক্তি; যেমন, জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলো স্থানিক দূরত্বের বাধা কমিয়ে আনার মাধ্যমে যোগাযোগকে নিয়ে এসেছে একেবারেই হাতের মুঠোয়।
এইসব প্ল্যাটফর্মগুলোর এইচডি ভিডিও কলিং ফিচারের মাধ্যমে মানুষ বর্তমানে তাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করতে পারছেন, তাদের দেখতেও পারছেন। এইচডি ভিডিও কলিং ফিচার, যারা পরিবার ছেড়ে অনেক দূরে থাকেন, তাদের জন্য শুধুমাত্র একটি ফিচার নয়, বরং তার চেয়েও বেশি কিছু তাদের অনুভূতির প্রকাশ মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে।
আর যোগাযোগ যদি নিরবচ্ছিন্ন না হয়, অপর পাশ হতে ভিডিও এবং কথা যদি স্পষ্ট দেখা এবং না শোনা যায়, তবে তা সম্পূর্ণ আবেগ প্রকাশে একধরনের বাধা সৃষ্টি করে থাকে। ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে এইক্ষেত্রে সমাধান হিসেবে ইমোর এইচডি ভিডিও কল ফিচারেও কথা বলা যায়, এমনকি যেসব স্থানে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সমস্যা রয়েছে, সেখানেও তুলনামূলক কমগতির ইন্টারনেটেও ইমো অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে।
সেইসঙ্গে, নিত্য যোগাযোগে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করাও ব্যয়সাশ্রয়ী, কেনোনা বেশির ভাগ অ্যাপই বিনামূল্যে ডাউনলোড করা সম্ভব। ইমোর মতো মানসম্পন্ন এবং সুবিধাজনক ভিডিও ফিচার দূরত্ব ঘুচিয়ে অনুভূতির প্রকৃত সংযোগও গড়ে তোলে। যে কারণে, বর্তমানে পাবনায় বসে একজন মা, ঢাকায় পড়াশোনা করতে আসা তার মেয়ের সঙ্গে নিয়মিত ভিডিও কলে সংযুক্ত হতে পারছেন অনায়াসে। অথবা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বসবাসরত একজন বাবা চট্টগ্রামে তার মেয়ের চট্টগ্রামে প্রথম চাকরি শুরুর মুহূর্তের সাক্ষীও হতে পারছেন।
আধুনিক সময়ের ব্যস্ততার মধ্যে অনুভূতির সংযোগ দিনকে দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এইক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে ইমোর মতো ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের ভিডিও কলিং ফিচারগুলো, যা প্রযুক্তি ও পিক্সেলের হিসেব ছাড়িয়ে অনুভূতি প্রকাশে সাহায্য করছে মানুষকে খুব সহজেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org