দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৩ মার্চ মুক্তি পেয়েছে চরকি অরিজিনাল সিনেমা ‘আমলনামা’র সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন চিত্রনির্মাতা রায়হান রাফী।

১৩ মার্চ মুক্তি পেয়েছে চরকিতে অরিজিনাল সিনেমাটি। ট্রেলার দেখে দর্শকদের কেও কেও সিনেমাটির সঙ্গে একরামুলের ঘটনার মিল খুঁজজে ফিরছেন। তবে তা নাকচ করেছেন সিনেমাটির নির্মাতা রায়হান রাফী।
আজ (রবিবার) দুপুরে প্রথম আলোকে রায়হান রাফী বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি যে, ছবিটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নয়। সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই নির্মিত সিনেমা। দেশে যতো বিচারবহির্ভূত হত্যকাণ্ড ঘটেছে, সব ঘটনার ছায়া অবলম্বনেই সিনেমাটি নির্মাণ করেছি।’
তার ভাষ্য মতে, ‘আমরা অনেকগুলো ঘটনার ছায়া অবলম্বনে একটি গল্প বলার চেষ্টাও করেছি ও বলেছি। নিশ্চিত করে বলছি এই গল্পে একক কোনো ব্যক্তি নেই।’
ইতিপূর্বে সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে ‘জানোয়ার’, ‘ফ্রাইডে’, ‘টান’, ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’সহ আরও কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন রায়হান রাফী।
‘আমলনামা’ নিয়ে তিনি বলেন যে, ‘এটি নির্দিষ্ট কোনো পরিবারের গল্পই নয়। সিনেমাটির সঙ্গে একরামুল হকের কোনো সম্পর্কও নেই। দেশের প্রতিটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই সিনেমাটি করেছি। আমরা চাই, সব বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডেরই বিচার হোক।’
রায়হান রাফী বলেছেন, ‘আমরা দেখতে পাই, যতোগুলো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সবকটিরই গল্প প্রায় কাছাকাছি। বন্দুকযুদ্ধের নামে তাদের বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়। সেইসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের সিনেমা। আমরা ফিকশনালভাবেই একটি গল্প উপস্থাপন করতে চেয়েছি, যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।’
‘আমলনামা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন- তমা মির্জা, জাহিদ হাসান, সারিকা সাবরিন, কামরুজ্জামান কামু, গাজী রাকায়েত, হাসনাত রিপন, গীতাশ্রী চৌধুরী, জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক, এ কে আজাদ সেতু, ইনায়া আর্যাসহ আরও অনেকেই অভিনয় করেছেন এই সিনেমায়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org