দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন একটি কাজ রয়েছে যা করলে সুফল পেতে পারেন হাতেনাতে। ভাবছেন কী এমন কাজ করতে হবে? যে কাজ প্রতিদিন ২০ মিনিট করলে শরীর-মন চাঙ্গা থাকবে!

শরীর সুস্থ রাখতে অনেকেই নানা ধরনের নিয়ম মেনে চলেন। কেও আবার নিয়মিত শরীরচর্চাও করেন, কারও ঘরোয়া খাবারে তৃপ্তির ঢেঁকুর ওঠে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও পানি খেতে ভোলেন না অনেকেই। ধারাবাহিকভাবে এই অভ্যাস জীবনের সঙ্গে জুড়ে নিলে নিঃসন্দেহে শরীর নিয়ে ভাবনা দূর হবে। তবে এগুলো ছাড়াও যদি নিয়মিত ২০ মিনিট ব্যয় করা যায়, তাহলে সুফল পাবেন হাতেনাতে। ভাবছেন কী এমন কাজ করতে হবে?
তেমন কোনো কঠিন কিছুই নয়। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই মিনিট বিশেক রোদে থাকুন। বেলা বাড়লে রোদের তীব্রতাও তখন বেড়ে যায়। তাই সকালের নরম রোদে কিছুক্ষণ সময় কাটালে পাবেন অনেক উপকার। শরীর ভিটামিন ডি পাবেই। এছাড়াও আরও অনেক সুফলও পাওয়া যাবে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে
সূর্যের আলো শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বছরভর মৌসুমি রোগ-বালাই পিছু ধাওয়া করে চলেছে। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে শরীরে ইমিউনিটি জোগায় এই রোদ। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এড়াতে রোদ গায়ে লাগানোটা জরুরি।
মেজাজ চনমনে করতে
শরীরের পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে মনের। সারাদিন নানা কারণে মেজাজ বিগড়েও থাকে। অত্যাধিক পরিশ্রম মনের উপর প্রভাবও ফেলে। সূর্যের আলো গায়ে মেখে যদি দিন শুরু করা যায়, তাহলে মনও চাঙ্গা থাকবে তাতে সন্দেহ নেই।
হার্ট-হাড়ের যত্ন
হার্ট ও হাড় ভালো রাখতে রোদ পোহানো জরুরি। সূর্যের আলো রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে হার্টে কোনও প্রভাবও পড়ে না। অপরদিকে সূর্যের আলো থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি হাড় শক্ত এবং মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org