দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রেকফাস্ট না করলে যেমন ঘটতে পারে বিপদ, ঠিক তেমনি ভুল খাবার খেলেও সমস্যা হতেই পারে। ব্রেকফাস্টে কোন কোন খাবার খাবেন বা খাবেন না, সেটি আজ জেনে নিন।

সকালে এক কাপ চা ও দু’টো বিস্কুট খেয়েই কাজে বেরিয়ে যান। ব্রেকফাস্ট না করার এই অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য কিন্তু ভীষণ ক্ষতিকর। এতে রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যায়। তবে ব্রেকফাস্ট করতে হবে বলেই আবার ভুলভাল খাবার খেয়ে বসবেন না। তাহলে আরও বিপদ ঘটতে পারে। ব্রেকফাস্টে ভুল খাবার খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে ওবেসিটি এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। এমনকী হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই জেনে নিন ব্রেকফাস্টে কোন কোন খাবার খাবেন না।
কর্নফ্লেক্স
দুধ-কর্নফ্লেক্স খেয়ে কাজে বের হওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে চিনিও থাকে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রিজ়ারভেটিভও থাকে। এগুলো দিনের পর দিন খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। কর্নফ্লেক্সের পাশাপাশি যে কোনও ধরনের সিরিয়ালও এড়িয়ে চলুন।
বেকারি পণ্য
মাফিন, কেক, ক্রঁসো, ডোনাটের মতো খাবার ব্রেকফাস্টে কখনও খাবেন না। এই ধরনের খাবার তৈরিতে ময়দা এবং চিনি ব্যবহার করা হয়। এগুলো মূলত অস্বাস্থ্যকর ট্রান্স ফ্যাটে ভরপুর। এগুলো যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তেমনি ওবেসিটিও ডেকে আনে। এ ছাড়াও ময়দার তৈরি পাউরুটি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ুন। পাউরুটিও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর।
ভাজাভুজি বর্জন
বাঙালিরা সকালবেলা কচুরি, শিঙাড়া, লুচি-পরোটার মতো খাবার খেতেই বেশি ভালোবাসেন। তবে এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। ভাজাভুজি খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং সোডিয়ামও থাকে। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে ও রক্তনালিতে তা জমা হয়। এখান থেকে হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়।
ফুল-ফ্যাট ও দুগ্ধজাত পণ্য
চা-কফি বানানোর জন্য কখনও ফুল-ফ্যাট দুধ ব্যবহার করবেন না। এমনকী ফুল-ফ্যাট দুধ হতে তৈরি পনির, চিজ়ও ব্রেকফাস্টে এড়িয়ে চলা ভালো। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণও বেশি থাকে। এতে রক্তে কোলেস্টেরল লেভেলও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org