দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রায় অর্ধযুগ সংসারের পর বিচ্ছেদের পথে এলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা। গত ১৬ জুন মোহাম্মদ ইফতেখার গহিনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।

গতকাল বুধবার (২৫ জুন) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিজের বিচ্ছেদের খবর সামনে নিয়ে আসেন কণা। এক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে- এ সবই আল্লাহর ইচ্ছা।
ঠিক তেমনি যে কোনো বিচ্ছেদও হয় তারই ইশারায়। আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি জানাচ্ছি যে, দীর্ঘ ৬ বছরের বিবাহিত জীবনের পর আমি ও গোলাম মোহাম্মাদ ইফতেখার গহিন গত ১৬ জুন, ২০২৫ তারিখে আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন করেছি।
তারপর তিনি লিখেছেন, এটি আমাদের দু’জনের জন্যই একটি অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল ও আমরা উভয়ই পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই এই পথে এসেছি। আমরা একে অপরের প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল থাকবো।
জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে আমরা দু’জনেই যেনো শান্তিতে ও সম্মানের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি, তার জন্য আপনাদের সকলের দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করছি।
তারপর কণা বলেন, এই মুহূর্তে আমি আমার গানের কাজেই মনোনিবেশ করতে চাই, যেই কাজের মাধ্যমেই আমি এতোদূর পর্যন্ত আসতে পেরেছি। তাই আশা করি আপনারাও আমার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন ও সবসময় আমাকে যেভাবে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় আগলে রেখেছেন, ভবিষ্যতেও ঠিক সেভাবেই রাখবেন।
আপনাদের ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৭ বছর প্রেমের পর ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল ভালোবেসে ব্যবসায়ী ইফতেখার গহিনকে বিয়ে করেন কণা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org