দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে ফেসবুক এখন শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সীমাবদ্ধ নেই। ফেসবুক এখন হয়ে উঠেছে অনেকের জন্যই একটি বড় আয়ের উৎস।

ভিডিও কনটেন্ট তৈরি, লাইভ স্ট্রিমিং বা স্পনসর পোস্টের মাধ্যমে এখন খুব সহজেই আয় করা যায়। তবে এইসব সুবিধা পেতে হলে ফেসবুক মনিটাইজেশনও চালু করতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক যে, কীভাবে আপনি ফেসবুক পেজের মনিটাইজেশন সুবিধা চালু করবেন:
মনিটাইজেশন চালুর ধাপসমূহ
১. Creator Studio হতে আবেদন করুন: https://business.facebook.com/creatorstudio লিংকে যান। এরপর বাম পাশে থাকা Monetization অপশনে ক্লিক করুন। সেখানে আপনার পেজ মনিটাইজেশনের জন্য যোগ্য কি-না, তাও দেখা যাবে। যদি যোগ্যতা থাকে, তাহলে Apply বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। ফেসবুক আপনার আবেদন পর্যালোচনা করবে ও সবকিছু ঠিক থাকলে তখন মনিটাইজেশন চালু হয়ে যাবে।
মনিটাইজেশনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলিসমূহ:
# পেজে অন্তত ১০,০০০ ফলোয়ার থাকতে হবে।
# গত ৬০ দিনে ভিডিওতে ৬ লাখ মিনিট ওয়াচ টাইমও থাকতে হবে।
# কমপক্ষে ৫টি সক্রিয় ভিডিও থাকতে হবে।
# ভিডিওগুলো অবশ্যই ৩ মিনিটের বেশি দৈর্ঘ্যের হতে হবে।
কনটেন্ট এবং পেজ Facebook’s Monetization Policies অনুযায়ী হতে হবে।
দেশভিত্তিক যোগ্যতাও থাকতে হবে (বাংলাদেশে সীমিত সুবিধা চালু রয়েছে)।
অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করণীয়:
# পেজের About সেকশন পূর্ণ করুন
# প্রোফাইল এবং কভার ফটো যুক্ত করুন
# Two-Factor Authentication চালু রাখুন
আবেদন এবং আয় শুরুর প্রক্রিয়া
যদি উপরের সব শর্তই পূরণ করেন, তাহলে Creator Studio থেকে সরাসরি আবেদনও করতে পারবেন। আবেদন অনুমোদন হলে আপনার ভিডিওতে বিজ্ঞাপন যুক্ত হবে ও আপনি আয় শুরু করতে পারবেন।
ফেসবুকের মনিটাইজেশন সুবিধাসমূহ:
# In-stream Ads (ভিডিও’র মধ্যে বিজ্ঞাপন)
# Facebook Stars (লাইভে স্টার পাঠানোর মাধ্যমে আয়)
# Brand Collabs Manager (স্পনসরশিপ এবং ব্র্যান্ড ডিল)
# Paid Online Events (অনলাইনে ইভেন্ট আয়োজন করে আয়)
# Subscription (সাবস্ক্রিপশন ফির মাধ্যমে আয়)
উল্লেখ্য, ফেসবুক থেকে আয় করতে হলে অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট শর্ত আপনাকে পূরণ করতে হবে ও ধাপে ধাপে নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। নিয়মিতভাবে মানসম্পন্ন কনটেন্ট প্রকাশ, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ ও অ্যাকাউন্ট সুরক্ষা বজায় রাখলে মনিটাইজেশন সুবিধা পাওয়াও সহজ হবে।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>
করনা সম্পর্কে নতুন করে জরুরী সতর্কতা
আসুন আমরা আবার মাস্ক পরা শুরু করি। কারণ করোনা তথা COVID-Omicron XBB আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ভিন্ন ও বিপজ্জনক। এটি সহজে শনাক্তও হয় না, তাই সবার মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি।
১. COVID-Omicron XBB এর নতুন উপসর্গগুলো:
i) কাশি নেই।
ii) জ্বর নেই।
বেশিরভাগ উপসর্গ হলো—
iii) অস্থিসন্ধিতে ব্যথা।
iv) মাথাব্যথা।
v) গলাব্যথা।
vi) পিঠে ব্যথা।
vii) নিউমোনিয়া।
viii) ক্ষুধা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া।
২. এই ভ্যারিয়েন্টটি ডেল্টার চেয়ে ৫ গুণ বেশি বিষাক্ত এবং মৃত্যুহারও বেশি।
৩. উপসর্গগুলো খুব অল্প সময়েই মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং কখনও কখনও কোনো স্পষ্ট উপসর্গ না দেখিয়েই অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে।
৪. তাই আরও বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এই ভ্যারিয়েন্টটি নাসোফ্যারেঞ্জিয়াল (নাকের গভীর অংশ) অঞ্চলে পাওয়া যায় না, বরং সরাসরি ফুসফুসের “উইন্ডো” অংশে আঘাত করে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।
৫. কিছু রোগীর মধ্যে জ্বর বা ব্যথা না থাকলেও এক্স-রে করলে মৃদু নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া নাক দিয়ে নেয়া স্যাম্পলে (সোয়াব) পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল আসছে, যা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট (ফলস নেগেটিভ) এর সংখ্যা বাড়াচ্ছে। এ কারণে এই ভাইরাসকে ‘ধূর্ত’ বলা হচ্ছে।
এর মানে হলো— এটি সহজেই ছড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, ভাইরাল নিউমোনিয়া সৃষ্টি করে এবং তীব্র শ্বাসকষ্ট তৈরি করে। এই কারণে COVID-Omicron XBB এত বেশি ছোঁয়াচে ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
৬. যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন, খোলা জায়গাতেও অন্তত ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন, সঠিকভাবে মাস্ক পরুন, এবং নিয়মিত হাত ধুয়ে ফেলুন—even যদি কাশি বা হাঁচি না থাকে।
এই COVID-Omicron XBB “ওয়েভ” প্রথম COVID-19 মহামারির চেয়েও ভয়াবহ।
সতর্কতা, সচেতনতা ও বৈচিত্র্যময় সুরক্ষা ব্যবস্থাই আমাদের রক্ষা করতে পারে।
✅ দয়া করে এই বার্তাটি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন।
✅ শুধুমাত্র নিজের কাছে রেখে দেবেন না।
✅ যত বেশি সম্ভব লোককে জানিয়ে দিন।
ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন এবং নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org