দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান এবার বড় পর্দায় আসতে যাচ্ছেন ‘প্রিন্স’ হয়ে। ছবির নায়িকা কে হচ্ছেন- তা নিয়ে টানা কয়েকদিন ধরে ছিল নানা জল্পনা। শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনার শেষ টানলো প্রযোজক প্রতিষ্ঠান। জানা গেছে, কে হতে যাচ্ছেন শাকিবের ‘প্রিন্সেস’।

‘প্রিন্স’–এর নায়িকা হিসেবে এবার নাম ঘোষণা করা হলো অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণের। ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী জানালেন, শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি বেশ আগ্রহী ছিলেন।
প্রযোজনা করছে ‘ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড ফিল্মস’। শনিবার প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, “বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘প্রিন্স’-এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে যুক্ত হতে যাচ্ছেন তাসনিয়া ফারিণ। ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড ফিল্মসের সঙ্গে শুরু হলো তার নতুন এই পথচলা। সম্ভাবনাময় নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা।”
পোস্টটি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে ফারিণ লিখেছেন, “হৃদয় ভরা এক ভালোবাসা, ‘প্রিন্স’ সিনেমার জন্য আমি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।”
এর আগে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, শাকিবের বিপরীতে কলকাতা থেকে থাকবেন রুক্মিণী মৈত্র ও ইধিকা পালও।
পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদের পরিচালনায় আগামী ঈদেই মুক্তি পেতে পারে ‘প্রিন্স’। নব্বই দশকের ঢাকার অপরাধজগতকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এর চিত্রনাট্য। সেখানে উঠে আসবে সেই সময়কার অন্ধকার দুনিয়ার গল্প। নায়ককে বিভিন্ন বয়সে দেখানোর প্রয়োজনীয়তায় শাকিব খানের নিতে হতে পারে ‘প্রস্থেটিক’ রূপটানও।
সিনেমাটিতে ক্যামেরা, নৃত্য, অ্যাকশন ও রূপসজ্জার দায়িত্ব সামলাবেন বলিউডের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ। পরিচালক জানান, ‘অ্যানিম্যাল’ খ্যাত চিত্রগ্রাহক অমিত রায় থাকছেন সিনেমাটির চিত্রগ্রহণে। একই সিনেমার রূপসজ্জাশিল্পী শাকিবের মেকআপের দায়িত্বে থাকবেন।
গল্প লিখেছেন মেজবাহ উদ্দিন সুমন, চিত্রনাট্য করেছেন তিনি ও মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। পরিচালক জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুটিং শুরু হবে। আগামী ঈদে মুক্তির লক্ষ্যেই এগিয়ে যাবে কাজ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org