দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ নীরবতার পর আবারও পর্দায় ফিরতে চলেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। প্রায় দুই বছর ধরে কোনো নতুন কাজ দেখা যায়নি তার।

মিম ওটিটিতেও অনুপস্থিত অনেকদিন। মাঝখানে সরকারি অনুদানের ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ সিনেমার শুটিং করলেও সেটিও এখন পর্যন্ত মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তারপর আর কোনো নতুন সিনেমা কিংবা ওয়েব কনটেন্টে তার অংশগ্রহণের খবরই পাওয়া যায়নি।
তবে বিরতি ভেঙে নতুনভাবে ফিরতে প্রস্তুত হচ্ছেন মিম। একটি সংবাদ মাধ্যমকে মিম জানিয়েছেন, ২০২৬ সালকে নিজের কামব্যাকের বছর হিসেবেই দেখছেন তিনি। পর্দায় কাজ না থাকলেও ব্র্যান্ড–সংক্রান্ত ইভেন্ট এবং প্রমোশনে তিনি নিয়মিতই ছিলেন। ২২ নভেম্বর এক ফ্যাশন হাউসের উদ্বোধনে অংশ নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর আবার সিনেমা হলে তার নতুন কাজ নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মিম ইতিমধ্যেই একটি নতুন সিনেমা এবং একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং শেষ করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত প্রকল্পগুলো নিয়ে বিস্তারিত কিছুই বলতে চান না তিনি। এ ছাড়াও তার হাতে আরও কয়েকটি সিনেমা এবং সিরিজের কাজ রয়েছে, যা ধীরে ধীরে সামনে উঠে আসবে।
মিম জানিয়েছেন, দুই বছরে তার কোনো কাজ মুক্তি না পেলেও প্রস্তাবের কোনো ঘাটতি ছিল না। তিনি ইচ্ছে করে সময় নিয়েছেন, কারণ তার লক্ষ্যই ছিল ভালো মানের প্রজেক্টে কাজ করা। অবশেষে সেই অপেক্ষার প্রাপ্তিও মিলছে। আগামী মাসে তার নতুন কাজগুলোর ঘোষণা আসতে যাচ্ছে।
বিরতিতে যাওয়ার আগের সময়টি ছিল তার ক্যারিয়ারের অন্যতম এক উজ্জ্বল অধ্যায়। ২০২২ সালে ঈদে মুক্তি পাওয়া রায়হান রাফীর ‘পরান’ তাকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে। একই নির্মাতার ‘দামাল’ সিনেমাও তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। পরের বছর তিনি অভিনয় করেন দীপংকর দীপনের ‘অন্তর্জাল’ সিনেমায় এবং সানি সানোয়ারের ওয়েব সিরিজ ‘মিশন হান্টডাউন’-এ। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই গেছে সর্বশেষ সময়টি। এখন নতুন করে এগিয়ে যেতে চান তিনি। ভালো কাজের আশাও করছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org