দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনে অনেকবারই কাজ করেছেন । তবে সেই দীর্ঘ অভিজ্ঞতার মধ্যেও এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যা আজও ভুলতে পারেন না পরিচালক আর. বাল্কি।

সম্প্রতি সাইরাস সেসের পডকাস্টে সেইসব ঘটনাই তুলে ধরলেন তিনি- যেখানে বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে নিজের রাগ সামলাতে পারেননি বিগ বি।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, বাল্কি জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনের ধরন ছিল খুব সহজ। একটি লনে বসে সংবাদপত্র পড়ছেন অমিতাভ বচ্চন। ঠিক সেই সময় গাড়ি চালিয়ে হাজির হবেন অভিষেক বচ্চন এবং বলবেন- ‘বাবা- আমার নতুন গাড়িটা দেখো।’ পরিকল্পনা অনুযায়ী রিহার্সেলও চলছিল ওই সময়। তবে হঠাৎ শুটিংয় সেটে এসে দাঁড়ালো এক ছোট সাইজের গাড়ি- যা বিজ্ঞাপনের ব্রিফের সাথে মোটেও মিলছিল না।
পরিচালকের ভাষায়, গাড়িটিকে দেখে অমিতাভ নিজের সংলাপ ভুলে যান। শুরু করে দেন গাড়ি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ। অভিষেক কিছুই বুঝতে না পারলেও বাল্কি বুঝে ফেলেন- এভাবে শুটিং চললে ব্র্যান্ডের ক্ষতি হবে।
তারপরই আসে আরও বিব্রত করানোর মুহূর্ত। অভিষেক এসে স্বভাবিকভাবেই বলেন, ‘বাবা, আমার নতুন গাড়িটা দেখো।’ সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে অমিতাভ বলে ওঠেন যে- ‘এটি কী বাজে কথা?’ এই সবকিছুই ক্যামেরায় ধরা পড়ে। বাল্কির মনে হয়েছিল- এই বিজ্ঞাপন এখানেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
যদিও তিনি কোম্পানিকে জানিয়ে সতর্ক করেছিলেন যে, তারপরও পরের দিনই বিজ্ঞাপনটি লঞ্চ করা হয়। মানুষ অমিতাভ-অভিষেককে একসঙ্গে বিজ্ঞাপনে দেখে দারুণ উচ্ছ্বসিত হলেও গাড়ির প্রতি কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি। বুকিংও আসেনি প্রত্যাশামাফিক। সেদিনই বাল্কি বুঝেছিলেন- আসলেই বিজ্ঞাপনটি বাতিলই করা উচিত ছিল।
আর. বাল্কি অমিতাভ এবং অভিষেককে নিয়ে ‘চিনি’, ‘পা’, ‘শমিতাভ’ এবং ‘ঘুমার’ সিনেমার মতো উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছেন।
অমিতাভকে সামনে দেখা যাবে ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’র সিক্যুয়েলে। অপরদিকে শাহরুখ খান, দীপিকা পাড়ুকোন এবং সুহানা খান অভিনীত ‘কিং’ সিনেমাতে যুক্ত হয়েছেন অভিষেক বচ্চন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org