দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আদিত্য ধরের নতুন সিনেমা ‘ধুরন্ধর’–এর ট্রেলার ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। রণবীর সিং, অক্ষয় খান্না, আর মাধবন, সঞ্জয় দত্ত এবং অর্জুন রামপাল- সবাই রয়েছেন এক ফ্রেমে।

এই প্রথম বড় পর্দায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন একসময়ের শিশুশিল্পী সারা অর্জুন। গত জুলাইয়ে রণবীরের জন্মদিনে প্রথম ঝলক প্রকাশের পর থেকে সিনেমাটি আলোচনায় ছিল; ট্রেলার সেই আলোচনাকে আরও তীব্র করেছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের বাস্তব কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ‘ধুরন্ধর’ বছরের অন্যতম প্রতীক্ষিত সিনেমা- এমনটিই বলছেন সমালোচকরা। এই সিনেমাতে রণবীর, অর্জুন এবং মাধবনকে নতুন রূপে দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন দর্শকরা।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রা–কুরলা কমপ্লেক্সের নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারে আড়ম্বরপূর্ণ এক আয়োজনে সম্প্রতি প্রকাশ করা হয় ট্রেলার। অনুষ্ঠানে ছিলেন রাকেশ বেদি, অর্জুন রামপাল, আর মাধবন, রণবীর সিং, সারা অর্জুন, পরিচালক আদিত্য ধর এবং প্রযোজক লোকেশ ধর। সিনেমাতে ৪০ বছর বয়সী রণবীরের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তার চেয়ে ২০ বছরের ছোট সারা অর্জুন; ঘোষণা আসার পরই বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনাও হয়েছিল। তবে ট্রেলার দেখে দর্শকরা দুজনের পর্দার রসায়ন ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন।
ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে সহ–অভিনেত্রী সারা অর্জুনকে প্রশংসায় ভাসান রণবীর সিং। কঠিন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়েই ধুরন্ধর-এ এসেছে সারা অর্জুন। রণবীর জানান, কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া প্রায় ১ হাজার ৩০০ মেয়ের অডিশন নিয়েছিলেন; তাদের মধ্যে থেকেই সারা নির্বাচিত হন- ‘সারা ছিলেন সেরাদের সেরা।’ তিনি বলেন, ‘সারা, আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে আমরা আজ এই মঞ্চে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি। আমি জানি তোমার জন্য এটি খুবই বিশেষ মুহূর্ত, এর অংশ হতে পেরে আমি নিজেও সম্মানিত বোধ করছি।’
‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ৫ ডিসেম্বর।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org