দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রায়হান রাফীর ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ নিয়ে অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সেন্সর বোর্ডের আপত্তিতে আটকে থাকা সিনেমাটি অবশেষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী মাস ডিসেম্বরে।

সাংবাদিক দম্পতির নৃশংস হত্যাকাণ্ড, যে রহস্য এক যুগেও ভেদ হয়নি; সেই আলোচিত ঘটনার ছায়া অবলম্বনেই নির্মিত হয়েছে ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটি।
এই থ্রিলার-রহস্যে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ এবং তানজিকা আমিন।
বহুল প্রতীক্ষিত ও আলোচিত সিনেমাটি ডিসেম্বরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলে একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সিনেমাটির অভিনেতা ইমতিয়াজ বর্ষণ।
তিনি জানিয়েছেন, আসছে ডিসেম্বর মাসে আমার অভিনীত দু’টি সিনেমা ‘এখানে রাজনীতি আলাপ জরুরি’ ও ‘অমীমাংসিত’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটি ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখে মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়াও আইস্ক্রিন সূত্র জানিয়েছে, সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে আটকে থাকা এই ফিল্মটির জট অবশেষে খুলতে যাচ্ছে। জানা গেছে, সব ঠিক-ঠাক থাকলে এই ডিসেম্বরেই এটি দর্শকদের সামনে আসতে যাচ্ছে।
গত বছর ফিল্মটি মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও তৎকালীন চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এর প্রদর্শনে আপত্তি জানিয়েছিলো। বোর্ড ওই সময় কয়েকটি প্রধান কারণ উল্লেখ করে ছাড়পত্র দেয়নি। তারা বলেছিলো, যেমন- নৃশংস খুনের দৃশ্য থাকা, এর কাল্পনিক কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তব ঘটনার সঙ্গে মিলে যাওয়া (যে ঘটনা বাস্তবে ঘটেছে ও এর মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন) এবং ফিল্মটি প্রচারিত হলে ভুল বার্তা যেতে পারে ও তদন্তে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন এর টিজার প্রকাশ পায়, তখন দর্শকরা আঁচ করেছিলেন যে এটি আলোচিত সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়েই নির্মিত হয়েছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org