দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩০ নভেম্বর নিজেদের নতুন ‘ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি’ উন্মোচন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক।

একটি অত্যাধুনিক, গ্রাহক–কেন্দ্রিক এবং প্রযুক্তিনির্ভর অপারেটর হিসেবে রূপান্তরে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
একইসঙ্গে এই উদ্যোগ দেশের ডিজিটাল অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে বাংলালিংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। নতুন এই পরিচয় বাংলালিংকের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওন গ্রুপের বৈশ্বিক লক্ষ্য সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতেও ভূমিকা রাখবে। ভিওনের লক্ষ্য ‘ডিজিটাল অপারেটর অ্যাম্বিশন’ (ডিও ১৪৪০) বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতের সেবা এবং পরিসরকে ডিজিটালভাবে আরও সমৃদ্ধ করা ও গ্রাহকদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আরও সমৃদ্ধ করা।
বর্তমানে যোগাযোগ, শিক্ষা, কাজ কিংবা বিনোদন– সকল ক্ষেত্রেই মানুষ ডিজিটাল কানেক্টিভিটির ওপর নির্ভরশীল। বাংলালিংকের নতুন এই ব্র্যান্ড পরিচয় উন্নততর ডিজিটাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নে ভিওনের প্রচেষ্টারই প্রতিফলন।
ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, বিনোদন উপভোগ, সেল্ফ-কেয়ার অ্যাপ ব্যবহার বা প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগ, গ্রাহকের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ, নির্ভরযোগ্য এবং অর্থবহ করতে নতুন এই ব্র্যান্ড ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলালিংক নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছে। অপারেটরটির লক্ষ্য শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক সেবা প্রদানকারী হিসেবে নয়, বরং গ্রাহকদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের কোটি মানুষকে সেবা প্রদান করা। বাংলালিংকে প্রতিটি সেবা শুরু হয় গ্রাহকের প্রয়োজন অনুধাবন করার মধ্য দিয়ে, আর শেষ হয় তাদের প্রতিদিনের জীবনের প্রতিটি প্রয়োজন যত্নের সঙ্গে সমাধান করার মাধ্যমে।
প্রাণবন্ত রং, আধুনিক নকশা ও আরও উষ্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ টোনের সমন্বয়ে তৈরি নতুন ভিজ্যুয়াল সিস্টেম গতি, সরলতা এবং বাংলালিংকের ডিজিটালপ্রথম চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত করে। এই নতুন পরিবর্তন নিশ্চিত করে যে গ্রাহকদের দৈনন্দিন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যময়, আরও ব্যক্তিগত ও আরও সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।
উন্মোচন অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে বলেছেন, “নতুন এই ব্র্যান্ড পরিচয় শুধুমাত্র বাহ্যিক পরিবর্তনই নয়। এটি আমাদের মূল প্রতিষ্ঠান ভিওনের ডিজিটাল অপারেটরের লক্ষ্য ও আমাদের গ্রাহকদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যের সাহসী পুনর্ব্যক্তিও। আমাদের নতুন পরিচয় গতি, উদ্ভাবন এবং অগ্রগতির প্রতীক। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমরা নির্ভরযোগ্য সংযোগ আর সবার জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে চাই। মানুষের জীবনকে আরও সহজ করা এবং অন্যের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক দৃষ্টান্ত তৈরি করাও আমাদের উদ্দেশ্য। আমরা এমন এক ভবিষ্যৎ তৈরি করছি, যেখানে বিশ্বমানের ডিজিটাল সেবা মানুষের প্রতিদিনের জীবনের অংশ হবে এবং কোটি মানুষের হাতের নাগালে আসবে। এই পরিবর্তন ক্ষমতায়নের যাত্রায় সবার জন্য শেখার, সৃষ্টির, যোগাযোগের এবং এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।”
বাংলালিংকের নতুন ব্র্যান্ড পরিচয় অপারেটরটির সব গ্রাহকসেবা কেন্দ্র, রিটেইল আউটলেট, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সেবা চ্যানেল ও দেশজুড়ে চলা বিভিন্ন প্রচারণায় ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি, বাংলালিংক নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন, গ্রাহককেন্দ্রিক পণ্য উন্নয়ন এবং বিনোদন, শিক্ষা, গেমিং এবং জীবনযাত্রাকেন্দ্রিক ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে নিজেদের বিনিয়োগ আরও বাড়িয়েছে।
নতুন পরিচয়ের মাধ্যমে বাংলালিংক এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে, যেখানে গ্রাহকের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে সহমর্মিতার সঙ্গে। স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত ও উদ্ভাবনী সব সেবা প্রদান করার মাধ্যমে দেশের মানুষের ধারাবাহিকভাবে পরিবর্বতনশীল ডিজিটাল চাহিদা পূরণ করবে বাংলালিংক।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org