দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বামী-সন্তান নিয়ে বর্তমানে পুরোদোস্তর সংসারী বলিউড কুইন দীপিকা পাড়ুকোন। কাজের পরিমাণ কমিয়ে এনে পুরো সময়টাই এখন মেয়েকে দিচ্ছেন এই ডিভা।

এমন সময় আবারও পাড়ুকোন পরিবারে বেজে উঠেছে বিয়ের সানাই, কনে হচ্ছেন দীপিকা পাড়ুকোনের বোন অনিশা।
দীপিকা-অনিশার বাবা হলেন খ্যাতনামা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় প্রকাশ পাড়ুকোন। তারই ছোট মেয়ে অনিশা। হবু জামাইও ব্যবসায়ী পরিবারেরই সন্তান। বিয়ের আয়োজন করতে পুরোদমেই ব্যস্ত পাড়ুকোন পরিবার।
মনস্তত্ত্ব, অর্থনীতি এবং সমাজতত্ত্ব নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে অনিশা পাড়ুকোনের। এ ছাড়াও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে নিয়েছেন ব্যবস্থাপনার ডিগ্রি। বর্তমানে বড় বোন দীপিকার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির স্বার্থে তৈরি সংস্থা ‘লাভ, লিভ, লাফ’-এর কর্ণধারও অনিশা। দীপিকার সংস্থার হয়ে অর্থ সংগ্রহ, প্রচার এবং উন্নয়নের স্বার্থে পালন করছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
অনিশা পাড়ুকোনের হবু বরের নাম হলো রোহন আচার্য। যদিও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব একটা সক্রিয় নন। যদিও তাকে বলিউডের বড় বড় তারকাও অনুসরণ করেন।
ছোটবেলা হতেই দুবাইয়ে থাকেন রোহন। কিংসটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে তার ঝুলিতে। তবে এখন দুবাইয়ে পারিবারিক ব্যবসার দেখভালও করছেন পাড়ুকোন পরিবারের হবু বর। হবু স্বামীর সঙ্গে অনিশার আলাপ হয়েছে ভগ্নিপতি রণবীর সিংয়ের মাধ্যমেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org