দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মনে হচ্ছে গানের জগতে পাকাপাকিভাবেই পা রাখছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। বেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে তার নতুন গানের কথা। ফারিণ-ইমরানের গান ‘মন গলবে না’ মুক্তি পাচ্ছে ৪ ডিসেম্বর।

সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুলের সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গাওয়া তার দ্বিতীয় গান হলো ‘মন গলবে না’ মুক্তি পাচ্ছে এ মাসেই; অপেক্ষার দিন শেষ। শুধু গায়িকা হিসেবেই নয়, নতুন এই গানটির মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করছেন তাসনিয়া ফারিণ।
জানা গেছে, এই গানটি ফারিণের নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ফড়িং ফিল্মস’ থেকে নির্মিত হয়েছে।
এই গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন নাহিয়ান আহমেদ। ভিডিওতে মডেল হিসেবেও ফারিণ ও ইমরান দুজনেই অভিনয় করেছেন। গানটির গীতিকার কবির বকুল। আর সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।
এদিকে, বেশ কিছুদিন ধরে কিছু কৌশল অবলম্বন করে একাধিক পোস্ট দেন তাসনিয়া ফারিণ।
তাতে প্রায় সময় উল্লেখ করেছিলেন, ‘তোমার জন্য আমার এ মন গলবে না।’ সে থেকে ভক্তদের আগ্রহও যেনো আরও বাড়তে থাকে। অবশেষে জানা গেলো, এটি আসলে তার ‘মন গলবে না’ গানের প্রচার করা হয়েছে।
অভিনয়ের পাশাপাশি ফারিণের গান করার খবরটিও কিন্তু নতুন নয়। গত বছর ‘ইত্যাদি’তে তাহসানের সঙ্গে তার গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হবো’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় ভক্তদের মধ্যে নতুন করে গানের আগ্রহ বাড়ে।
জানা গেছে যে, আগামী ৪ ডিসেম্বর ফারিণ এবং ইমরান মাহমুদুলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে গানটি একযোগে মুক্তি পাচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org